
চান্দিনা মেইল অনলাইনঃ
মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের দরজা আবারও খুলছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য। মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)।
২০২৩ সালের ৩১ মে’র মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা নিবন্ধিত কর্মীদের মধ্য থেকে নির্বাচিতদের এবার কনস্ট্রাকশন ও ট্যুরিজম খাতে নিয়োগ দেয়া হবে। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এই তথ্য জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (FWCMS)-এর অনলাইন পোর্টালে নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য প্রদান করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কোম্পানির অনুমোদনপত্র (ম্যানেজার বা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ)
বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেয়া সত্যায়ন ফি-এর ব্যাংক স্লিপ।
৪-৫ জন কর্মীর সাম্প্রতিক বেতন স্লিপ।
কোম্পানির প্রোফাইল ও কর্মীদের সংখ্যা।
২/৩ জন বাংলাদেশি কর্মীর মোবাইল নম্বর।
শেষ তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (যেখানে ১০০ কর্মীর জন্য ন্যূনতম ২ লাখ রিংগিত ব্যালান্স থাকা আবশ্যক)
সংশ্লিষ্ট স্কিমের দলিল (SOCSO ও Hospitalization & Surgical Scheme)
জেটিকে সার্টিফিকেট, নির্মাণ চুক্তি, গ্যারান্টি লেটার, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি।
বোয়েসেল ও নিয়োগকারীর মধ্যে চুক্তিপত্র।
কোটা অনুমোদনপত্র।
অনলাইন দাখিলের পাশাপাশি মূল কপি ও এক সেট ফটোকপি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিতে হবে—এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক জটিলতার পর মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী নির্ধারিত কোটা, নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা এবং খরচ নিয়ন্ত্রণের শর্তে ফের কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে।
সিলেক্টিভ রিক্রুটমেন্ট’ মডেল চালুর পরিকল্পনা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং নিবন্ধিত এজেন্সির মাধ্যমেই কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকবে। খসড়া কর্মপরিকল্পনা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করেছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, যেখানে বাংলাদেশ সরকারের কিছু সংশোধনীও যুক্ত হয়েছে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য থাকলেও অনিয়ম এবং কোটাবাণিজ্যের অভিযোগে এই কার্যক্রম মাঝপথেই স্থগিত হয়।
Reporter Name 















