সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

৩০০ এজেন্ট নিয়ে ইউএস-বাংলার ‘পার্টনার রিট্রিট মালদ্বীপ-২০২৫’ অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩
  • 19

ছালাউদ্দিন রিপন:

বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মালদ্বীপে আয়োজন করেছে এক অনন্য সম্মেলন ‘পার্টনার রিট্রিট মালদ্বীপ-২০২৫’। এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ৩০০-এর অধিক ট্রাভেল এজেন্ট, যা বিশ্বে একক কোনো এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রাভেল পার্টনার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের নজির স্থাপন করেছে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা ১৯ সেপ্টেম্বর দু’টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের ভেলেনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সম্মেলনের ভেন্যু ছিল মালদ্বীপের ক্রসরোড আইল্যান্ডের সাই লেগুন ও হার্ড রক হোটেল।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাই লেগুন কনভেনশন হলে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ৪০টি ট্রাভেল এজেন্সিকে পুরস্কৃত ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রথম স্থান অর্জন করে হাজী এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড, দ্বিতীয় স্থান শেয়ার ট্রিপ লিমিটেড এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে গোযায়ান লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন, দি বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ইউএস-বাংলার হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং শফিকুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জনসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল ইসলাম।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের ট্রাভেল পার্টনাররা আমাদের পাশে ছিলেন। ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতায় ইউএস-বাংলা বিশ্ব এভিয়েশনে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।” তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইউএস-বাংলা দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ এশিয়ার ১০টি দেশে ১৪টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানবহরে রয়েছে ২৪টি উড়োজাহাজ, যার মধ্যে রয়েছে ৪৩৬ আসনের দু’টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। শিগগিরই আরও একটি এয়ারবাস যুক্ত হচ্ছে বহরে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের মদিনা ও দাম্মাম রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক রুটকে আরও শক্তিশালী করতে ২০টি নতুন উড়োজাহাজ সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবছর ৩০ জন পাইলট ও ৩০ জন ইঞ্জিনিয়ার তৈরির উদ্যোগও চালু রয়েছে।

সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাজী ওয়াহিদুল আলম, শফিকুল ইসলাম, আবুল খায়ের (ঢাকা), মোহাম্মদ আবু জাফর (চট্টগ্রাম), জহিরুল কবির চৌধুরী (সিলেট), আকবর আলী (রাজশাহী), জহুরুল ইসলাম (সৈয়দপুর), সাইদুল হক বাপ্পি (যশোর) এবং সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের (কক্সবাজার)।

২১ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। অংশগ্রহণকারী ট্রাভেল পার্টনাররা ইউএস-বাংলার সঙ্গে থেকে বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

এই আয়োজন শুধু একটি সম্মেলন নয়, বরং বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়।

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

৩০০ এজেন্ট নিয়ে ইউএস-বাংলার ‘পার্টনার রিট্রিট মালদ্বীপ-২০২৫’ অনুষ্ঠিত

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩

ছালাউদ্দিন রিপন:

বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মালদ্বীপে আয়োজন করেছে এক অনন্য সম্মেলন ‘পার্টনার রিট্রিট মালদ্বীপ-২০২৫’। এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ৩০০-এর অধিক ট্রাভেল এজেন্ট, যা বিশ্বে একক কোনো এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রাভেল পার্টনার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের নজির স্থাপন করেছে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা ১৯ সেপ্টেম্বর দু’টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের ভেলেনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সম্মেলনের ভেন্যু ছিল মালদ্বীপের ক্রসরোড আইল্যান্ডের সাই লেগুন ও হার্ড রক হোটেল।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাই লেগুন কনভেনশন হলে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ৪০টি ট্রাভেল এজেন্সিকে পুরস্কৃত ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রথম স্থান অর্জন করে হাজী এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড, দ্বিতীয় স্থান শেয়ার ট্রিপ লিমিটেড এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে গোযায়ান লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন, দি বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ইউএস-বাংলার হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং শফিকুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জনসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল ইসলাম।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের ট্রাভেল পার্টনাররা আমাদের পাশে ছিলেন। ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতায় ইউএস-বাংলা বিশ্ব এভিয়েশনে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।” তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইউএস-বাংলা দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ এশিয়ার ১০টি দেশে ১৪টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানবহরে রয়েছে ২৪টি উড়োজাহাজ, যার মধ্যে রয়েছে ৪৩৬ আসনের দু’টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। শিগগিরই আরও একটি এয়ারবাস যুক্ত হচ্ছে বহরে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের মদিনা ও দাম্মাম রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক রুটকে আরও শক্তিশালী করতে ২০টি নতুন উড়োজাহাজ সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবছর ৩০ জন পাইলট ও ৩০ জন ইঞ্জিনিয়ার তৈরির উদ্যোগও চালু রয়েছে।

সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাজী ওয়াহিদুল আলম, শফিকুল ইসলাম, আবুল খায়ের (ঢাকা), মোহাম্মদ আবু জাফর (চট্টগ্রাম), জহিরুল কবির চৌধুরী (সিলেট), আকবর আলী (রাজশাহী), জহুরুল ইসলাম (সৈয়দপুর), সাইদুল হক বাপ্পি (যশোর) এবং সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের (কক্সবাজার)।

২১ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। অংশগ্রহণকারী ট্রাভেল পার্টনাররা ইউএস-বাংলার সঙ্গে থেকে বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

এই আয়োজন শুধু একটি সম্মেলন নয়, বরং বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়।