সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস
জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ওপর চলছে অতিরিক্ত ফি চাপ, অফিস ও দলিল লেখকদের যোগসাজশে নিয়মিত ভুয়া দলিল তৈরি।

চান্দিনা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোটি টাকার দুর্নীতি: জমির দলিলে ভুয়া কাগজের ছড়াছড়ি

চান্দিনা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে প্রকাশ্য দুর্নীতি ও জালিয়াতির চক্র। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকারি নির্ধারিত ফিরের চেয়ে দ্বিগুণ এবং কখনও কখনও তারও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধু অতিরিক্ত অর্থ আদায় নয়, দলিল লেখক ও অফিসের প্রভাবশালী একটি চক্র ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে নিয়মিত সম্পত্তি রেজিস্ট্রির কাজ করছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পৌর এলাকায় জমির ক্রয়-বিক্রয়ে সর্বোচ্চ ৭.৫ শতাংশ ফি প্রযোজ্য। কিন্তু অফিস ও দলিল লেখকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ আদায় করছেন। অভিযোগ রয়েছে, কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি দেখিয়ে ‘স্যারকে ম্যানেজ করতে হবে’ অজুহাতে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব চলে যাচ্ছে দুর্নীতিবাজদের পকেটে।

ভুয়া দলিলের ছড়াছড়ি, চান্দিনা পৌরসভার হারং গ্রামের লুৎফা আক্তারের দলিলে ধরা পড়েছে জালিয়াতির চিত্র। তিনি ভাইকে বাদ দিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ ব্যবহার করে ৮ শতাংশ জমির দলিল সম্পন্ন করেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। সরকারি ফি ছিল মাত্র ৭২ হাজার টাকা। নামজারি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি ভূমি অফিসে ধরা পড়ে।

দলিল লেখক ও ভুয়া চক্রের অভিযোগ; দলিল লেখকদের বক্তব্য, প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়। প্রতিটি দলিল থেকে ‘অফিস খরচ’ বাবদ দেড় শতাংশ টাকা দিতে হয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, দৈনিক প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা সাব-রেজিস্ট্রারের হাতে যায়। সরকারি অনুমোদিত ৭০ জন লেখকের পাশাপাশি অন্তত অর্ধশত ভুয়া লেখক নিয়মিত অফিসে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

“নির্ধারিত ফি ছাড়া কোনো দলিল হয় না। অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে কাজ আটকে রাখা হয় এবং নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়,” অভিযোগ করেন স্থানীয় নাগরিক তাজুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, “এটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিতে পরিণত হয়েছে। একাধিকবার অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।”

চান্দিনা সাব-রেজিস্ট্রার মাকসুদুর রহমান বলেন, “অফিসে দলিল খরচের চার্ট ঝুলানো আছে। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে প্রমাণসহ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” তবে ভুয়া দলিল বিষয়ে তিনি দায় এড়িয়ে বলেন, “রেজিস্ট্রির সময় কাগজপত্র সঠিক ছিল, পরে কিভাবে জাল হলো তা জানা নেই।

See also  হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও দলিল লেখকদের তথ্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক সুসংগঠিত দুর্নীতির নেটওয়ার্ক কাজ করছে। কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নিলে এই চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে এবং সাধারণ মানুষকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ওপর চলছে অতিরিক্ত ফি চাপ, অফিস ও দলিল লেখকদের যোগসাজশে নিয়মিত ভুয়া দলিল তৈরি।

চান্দিনা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোটি টাকার দুর্নীতি: জমির দলিলে ভুয়া কাগজের ছড়াছড়ি

৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২২

চান্দিনা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে প্রকাশ্য দুর্নীতি ও জালিয়াতির চক্র। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকারি নির্ধারিত ফিরের চেয়ে দ্বিগুণ এবং কখনও কখনও তারও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধু অতিরিক্ত অর্থ আদায় নয়, দলিল লেখক ও অফিসের প্রভাবশালী একটি চক্র ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে নিয়মিত সম্পত্তি রেজিস্ট্রির কাজ করছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পৌর এলাকায় জমির ক্রয়-বিক্রয়ে সর্বোচ্চ ৭.৫ শতাংশ ফি প্রযোজ্য। কিন্তু অফিস ও দলিল লেখকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ আদায় করছেন। অভিযোগ রয়েছে, কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি দেখিয়ে ‘স্যারকে ম্যানেজ করতে হবে’ অজুহাতে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব চলে যাচ্ছে দুর্নীতিবাজদের পকেটে।

ভুয়া দলিলের ছড়াছড়ি, চান্দিনা পৌরসভার হারং গ্রামের লুৎফা আক্তারের দলিলে ধরা পড়েছে জালিয়াতির চিত্র। তিনি ভাইকে বাদ দিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ ব্যবহার করে ৮ শতাংশ জমির দলিল সম্পন্ন করেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। সরকারি ফি ছিল মাত্র ৭২ হাজার টাকা। নামজারি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি ভূমি অফিসে ধরা পড়ে।

দলিল লেখক ও ভুয়া চক্রের অভিযোগ; দলিল লেখকদের বক্তব্য, প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়। প্রতিটি দলিল থেকে ‘অফিস খরচ’ বাবদ দেড় শতাংশ টাকা দিতে হয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, দৈনিক প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা সাব-রেজিস্ট্রারের হাতে যায়। সরকারি অনুমোদিত ৭০ জন লেখকের পাশাপাশি অন্তত অর্ধশত ভুয়া লেখক নিয়মিত অফিসে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

“নির্ধারিত ফি ছাড়া কোনো দলিল হয় না। অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে কাজ আটকে রাখা হয় এবং নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়,” অভিযোগ করেন স্থানীয় নাগরিক তাজুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, “এটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিতে পরিণত হয়েছে। একাধিকবার অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।”

চান্দিনা সাব-রেজিস্ট্রার মাকসুদুর রহমান বলেন, “অফিসে দলিল খরচের চার্ট ঝুলানো আছে। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে প্রমাণসহ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” তবে ভুয়া দলিল বিষয়ে তিনি দায় এড়িয়ে বলেন, “রেজিস্ট্রির সময় কাগজপত্র সঠিক ছিল, পরে কিভাবে জাল হলো তা জানা নেই।

See also  হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও দলিল লেখকদের তথ্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক সুসংগঠিত দুর্নীতির নেটওয়ার্ক কাজ করছে। কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নিলে এই চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে এবং সাধারণ মানুষকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।