
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র মহাসচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলসমূহ ভিন্নমত, মতামত ও নোট অব ডিসেন্ট যুক্ত করে জাতীয় ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তি রচনার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া যায়। এ প্রস্তাবে এলডিপিও একমত প্রকাশ করেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেদোয়ান আহমেদ জানান, গত ১৭ অক্টোবর এলডিপি ‘জাতীয় জুলাই সনদ ২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে, কিন্তু স্বাক্ষরের আগে সনদের কোনো প্রিন্ট কপি সরবরাহ করা হয়নি। স্বাক্ষরের পর বাড়ি ফেরার পথে সদস্যদের হাতে সনদের ছাপানো কপি তুলে দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এই সনদ যেই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, বাস্তবে সেখানে বহু ক্ষেত্রে সেই ঐক্যমত্য প্রতিফলিত হয়নি।
এসময় তিনি ঐক্যমত্য কমিশনের কিছু প্রস্তাবকে ‘আইনবহির্ভূত ও বিভ্রান্তিমূলক’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠনের কোনো প্রস্তাব বা আলোচনা হয়নি। এটি ঐক্যমত্য কমিশনের নিজস্ব ও ভিত্তিহীন প্রস্তাব।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার কেবল জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পর্যন্ত সীমিত। সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন বা সেই বিষয়ে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষমতা তাদের নেই। অথচ ঐক্যমত্য কমিশনের খসড়ায় বলা হয়েছে—সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ২৭০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে গণভোটে অনুমোদিত বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হবে—যা সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, অবৈধ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি আরও বলেন, “ঐক্যমত্য কমিশনের এই অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাবসমূহ জাতীয় ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। জাতিকে বিভক্ত করার এ প্রচেষ্টা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য এক অশনি সংকেত।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপি চান্দিনা উপজেলা সভাপতি এ. কে. এম. শামসুল হক মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া, উপজেলা গণতান্ত্রিক যুবদল সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ ভূইয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
অনলাইন ডেস্ক 









