সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

সাইফ-সৌম্যের ঝড়ের পরও তিনশ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

মিরপুরের স্পিনবান্ধব উইকেটে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছিলেন ব্যাটাররা। তবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সেই চিত্র বদলে দিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। তাদের রেকর্ড গড়া উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত পেল বাংলাদেশ। যদিও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় কাঙ্ক্ষিত তিনশ রানের গণ্ডি ছোঁয়া হয়নি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ৯১ এবং সাইফ হাসান ৮০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ১৭৬ রান, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পার্টনারশিপ।

প্রথম দুই ম্যাচের মতো এবারও স্পিন দিয়েই আক্রমণ শুরু করে সফরকারীরা। তবে শুরুতেই আকিল হোসেনকে চাপে ফেলেন সাইফ হাসান, প্রথম ওভারেই দুটি চার মেরে জানান দেন আগ্রাসী মনোভাবের। এরপর সৌম্য সরকারও যোগ দেন রানের উৎসবে। মাত্র ৪৬ বলেই আসে উদ্বোধনী জুটির পঞ্চাশ। স্পিনে সুবিধা করতে না পেরে দশম ওভারে পেসার জাস্টিন গ্রেভসকে আক্রমণে আনেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপ, তবে তিনিও ব্যর্থ হন।

৪৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সৌম্য, যা ওয়ানডেতে তার ১৪তম এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ষষ্ঠ অর্ধশতক। সাইফ হাসানও ৪৪ বলে নিজের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি পূর্ণ করেন। দুজনই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে, কিন্তু ২৬তম ওভারে রোস্টন চেজের বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ বলে ৮০ রান, যার মধ্যে ছিল ৬টি ছক্কা।

সৌম্য সরকারও সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে থেমে যান। ৮৬ বলে ৯১ রান করে তিনিও ক্যাচ আউট হন। এরপর রানের গতি কমে যায়। তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত ডট বল খেলায় চাপ বাড়ে দলের ওপর। হৃদয় ৪৪ বলে ২৮ এবং শান্ত ৫৫ বলে ৪৪ রান করে ফিরেন।

See also  মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। আগের ম্যাচে ভালো খেলা রিশাদকে এবার প্রমোশন দিয়ে ছয়ে নামানো হয়, কিন্তু তিনি ৬ বলে মাত্র ৩ রান করেন।

শেষদিকে কিছুটা ফিনিশিং টাচ দেন নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। নুরুল ৮ বলে ১৬ এবং মিরাজ ১৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২৯৬ রানে, যা বড় সংগ্রহ হলেও ম্যাচের প্রেক্ষাপটে কিছুটা হতাশাজনকই বলা যায়। কারণ, দুই ওপেনারের দুর্দান্ত সূচনার পর তিনশ ছোঁয়া সম্ভব ছিল। এখন দেখার পালা, এই রান ডিফেন্ড করতে কতটা সফল হয় টাইগাররা।

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

সাইফ-সৌম্যের ঝড়ের পরও তিনশ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ

২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৩৮

মিরপুরের স্পিনবান্ধব উইকেটে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছিলেন ব্যাটাররা। তবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সেই চিত্র বদলে দিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। তাদের রেকর্ড গড়া উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের ভিত পেল বাংলাদেশ। যদিও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় কাঙ্ক্ষিত তিনশ রানের গণ্ডি ছোঁয়া হয়নি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ৯১ এবং সাইফ হাসান ৮০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ১৭৬ রান, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পার্টনারশিপ।

প্রথম দুই ম্যাচের মতো এবারও স্পিন দিয়েই আক্রমণ শুরু করে সফরকারীরা। তবে শুরুতেই আকিল হোসেনকে চাপে ফেলেন সাইফ হাসান, প্রথম ওভারেই দুটি চার মেরে জানান দেন আগ্রাসী মনোভাবের। এরপর সৌম্য সরকারও যোগ দেন রানের উৎসবে। মাত্র ৪৬ বলেই আসে উদ্বোধনী জুটির পঞ্চাশ। স্পিনে সুবিধা করতে না পেরে দশম ওভারে পেসার জাস্টিন গ্রেভসকে আক্রমণে আনেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপ, তবে তিনিও ব্যর্থ হন।

৪৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সৌম্য, যা ওয়ানডেতে তার ১৪তম এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ষষ্ঠ অর্ধশতক। সাইফ হাসানও ৪৪ বলে নিজের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি পূর্ণ করেন। দুজনই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে, কিন্তু ২৬তম ওভারে রোস্টন চেজের বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ বলে ৮০ রান, যার মধ্যে ছিল ৬টি ছক্কা।

সৌম্য সরকারও সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে থেমে যান। ৮৬ বলে ৯১ রান করে তিনিও ক্যাচ আউট হন। এরপর রানের গতি কমে যায়। তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত ডট বল খেলায় চাপ বাড়ে দলের ওপর। হৃদয় ৪৪ বলে ২৮ এবং শান্ত ৫৫ বলে ৪৪ রান করে ফিরেন।

See also  কুমিল্লার নতুন এসপি আনিসুজ্জামান

মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। আগের ম্যাচে ভালো খেলা রিশাদকে এবার প্রমোশন দিয়ে ছয়ে নামানো হয়, কিন্তু তিনি ৬ বলে মাত্র ৩ রান করেন।

শেষদিকে কিছুটা ফিনিশিং টাচ দেন নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। নুরুল ৮ বলে ১৬ এবং মিরাজ ১৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২৯৬ রানে, যা বড় সংগ্রহ হলেও ম্যাচের প্রেক্ষাপটে কিছুটা হতাশাজনকই বলা যায়। কারণ, দুই ওপেনারের দুর্দান্ত সূচনার পর তিনশ ছোঁয়া সম্ভব ছিল। এখন দেখার পালা, এই রান ডিফেন্ড করতে কতটা সফল হয় টাইগাররা।