সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর সহজ উপায়

ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিগত জীবনে তো বটেই, পেশাগত ক্ষেত্রেও কথা বলার গুরুত্ব অপরিসীম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলার ধরন ও মাধ্যম বদলেছে। এখন মুখোমুখি কথোপকথনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগের প্রবণতা বেড়েছে। তবে মনোবিদদের মতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে যোগাযোগে অনেক সময় গভীরতা বা স্পষ্টতা কমে যায়।

ফলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কথা বলার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয় এবং সম্পর্ক সুস্থ থাকে। চলুন, জেনে নিই।

শোনা শিখুন- যোগাযোগ শুধু বলা নয়, শোনাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি শুধু নিজের কথাই বলে, অপরপক্ষের কথা না শোনে, তাহলে তা একতরফা হয়ে পড়ে। তাই কখন বলা উচিত আর কখন মন দিয়ে শোনা উচিত, সেটা বুঝে নেওয়া জরুরি।

বলার আগে চিন্তা করুন- যেকোনো বিষয়ে মত প্রকাশের আগে একবার ভাবুন। হঠাৎ করে না ভেবে কিছু বললে ভুল বোঝাবুঝি বা অপমানের আশঙ্কা থাকে। পরে সেটা শুধরে নেওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে।

সহজ ও স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করুন- কথা বলার সময় সহজ, পরিষ্কার ভাষা ব্যবহার করুন যাতে সবাই বুঝতে পারে। খুব জটিল বা অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহারে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে পারে। অপ্রাসঙ্গিক বা রাগান্বিত কথা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলতে পারে।

ইঙ্গিত বুঝতে শিখুন- শুধু কথার মাধ্যমে নয়, অনেক সময় মুখভঙ্গি, চোখের ভাষা বা হাতের ইশারাতেও মানুষ অনেক কিছু বোঝায়। তাই সামনের মানুষের অভিব্যক্তি খেয়াল করুন—তাতে কথা না বললেও অনেক কিছু বোঝা সম্ভব।

টোন ও বাচনভঙ্গি মিলিয়ে নিন- একই কথা ভিন্ন টোনে ভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে। তাই আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন, সেই অনুযায়ী কণ্ঠস্বর ও বাচনভঙ্গি ঠিক রাখুন। যেমন—সহকর্মী, ঊর্ধ্বতন বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার ভঙ্গি একরকম হওয়া উচিত নয়।

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে কথোপকথনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু কী বলছেন তা নয়, কিভাবে বলছেন, সেই বিষয়গুলো বুঝে কথা বললে অনেক ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব। সময়মতো কথা বলুন, মন দিয়ে শুনুন; তবেই সম্পর্ক থাকবে দৃঢ় ও মজবুত।

সূত্র : নলেজ একাডেমি

Tag :

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর সহজ উপায়

১৪ অক্টোবর ২০২৫, ৬:১৯

ব্যক্তিগত জীবনে তো বটেই, পেশাগত ক্ষেত্রেও কথা বলার গুরুত্ব অপরিসীম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলার ধরন ও মাধ্যম বদলেছে। এখন মুখোমুখি কথোপকথনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগের প্রবণতা বেড়েছে। তবে মনোবিদদের মতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে যোগাযোগে অনেক সময় গভীরতা বা স্পষ্টতা কমে যায়।

ফলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কথা বলার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয় এবং সম্পর্ক সুস্থ থাকে। চলুন, জেনে নিই।

শোনা শিখুন- যোগাযোগ শুধু বলা নয়, শোনাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি শুধু নিজের কথাই বলে, অপরপক্ষের কথা না শোনে, তাহলে তা একতরফা হয়ে পড়ে। তাই কখন বলা উচিত আর কখন মন দিয়ে শোনা উচিত, সেটা বুঝে নেওয়া জরুরি।

বলার আগে চিন্তা করুন- যেকোনো বিষয়ে মত প্রকাশের আগে একবার ভাবুন। হঠাৎ করে না ভেবে কিছু বললে ভুল বোঝাবুঝি বা অপমানের আশঙ্কা থাকে। পরে সেটা শুধরে নেওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে।

সহজ ও স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করুন- কথা বলার সময় সহজ, পরিষ্কার ভাষা ব্যবহার করুন যাতে সবাই বুঝতে পারে। খুব জটিল বা অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহারে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে পারে। অপ্রাসঙ্গিক বা রাগান্বিত কথা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলতে পারে।

ইঙ্গিত বুঝতে শিখুন- শুধু কথার মাধ্যমে নয়, অনেক সময় মুখভঙ্গি, চোখের ভাষা বা হাতের ইশারাতেও মানুষ অনেক কিছু বোঝায়। তাই সামনের মানুষের অভিব্যক্তি খেয়াল করুন—তাতে কথা না বললেও অনেক কিছু বোঝা সম্ভব।

টোন ও বাচনভঙ্গি মিলিয়ে নিন- একই কথা ভিন্ন টোনে ভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে। তাই আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন, সেই অনুযায়ী কণ্ঠস্বর ও বাচনভঙ্গি ঠিক রাখুন। যেমন—সহকর্মী, ঊর্ধ্বতন বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার ভঙ্গি একরকম হওয়া উচিত নয়।

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে কথোপকথনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু কী বলছেন তা নয়, কিভাবে বলছেন, সেই বিষয়গুলো বুঝে কথা বললে অনেক ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব। সময়মতো কথা বলুন, মন দিয়ে শুনুন; তবেই সম্পর্ক থাকবে দৃঢ় ও মজবুত।

সূত্র : নলেজ একাডেমি