ব্যক্তিগত জীবনে তো বটেই, পেশাগত ক্ষেত্রেও কথা বলার গুরুত্ব অপরিসীম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলার ধরন ও মাধ্যম বদলেছে। এখন মুখোমুখি কথোপকথনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগের প্রবণতা বেড়েছে। তবে মনোবিদদের মতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে যোগাযোগে অনেক সময় গভীরতা বা স্পষ্টতা কমে যায়। ফলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কথা বলার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয় এবং সম্পর্ক সুস্থ থাকে। চলুন, জেনে নিই। শোনা শিখুন- যোগাযোগ শুধু বলা নয়, শোনাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি শুধু নিজের কথাই বলে, অপরপক্ষের কথা না শোনে, তাহলে তা একতরফা হয়ে পড়ে। তাই কখন বলা উচিত আর কখন মন দিয়ে শোনা উচিত, সেটা বুঝে নেওয়া জরুরি। বলার আগে চিন্তা করুন- যেকোনো বিষয়ে মত প্রকাশের আগে একবার ভাবুন। হঠাৎ করে না ভেবে কিছু বললে ভুল বোঝাবুঝি বা অপমানের আশঙ্কা থাকে। পরে সেটা শুধরে নেওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে। সহজ ও স্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করুন- কথা বলার সময় সহজ, পরিষ্কার ভাষা ব্যবহার করুন যাতে সবাই বুঝতে পারে। খুব জটিল বা অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহারে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে পারে। অপ্রাসঙ্গিক বা রাগান্বিত কথা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলতে পারে। ইঙ্গিত বুঝতে শিখুন- শুধু কথার মাধ্যমে নয়, অনেক সময় মুখভঙ্গি, চোখের ভাষা বা হাতের ইশারাতেও মানুষ অনেক কিছু বোঝায়। তাই সামনের মানুষের অভিব্যক্তি খেয়াল করুন—তাতে কথা না বললেও অনেক কিছু...