
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের কন্যা সামিরা আজিম দোলাসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা জানান, সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, তবে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন: সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে সামিরা আজিম দোলা, বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান বাদল, দোলার অনুসারী জসিম উদ্দিন।
তাদেরসহ অন্যান্য আহতদের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দোলাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাজিয়া বিনতে আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়া সামিরা আজিম দোলা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছনগাঁও এলাকায় গণসংযোগে গেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী আবুল কালামের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সামিরা আজিম দোলা বলেন, “ছনগাঁওয়ে আমাদের একটি মহিলা সমাবেশ ছিল। প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যাতে আমরা সেখানে না যাই। কিন্তু নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি উপস্থিত হই, তখনই হামলা হয়। অনেক নারীসহ আমার কর্মীরা আহত হয়েছেন। যারা এ হামলা করেছে, তারা বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী হতে পারে না।”
দোলার অনুসারী জসিম উদ্দিন বলেন, “আমার মাথা ফেটে গেছে। অন্তত ৫০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।”
এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আবুল কালাম সমর্থক শাহ আলম বলেন, “আজকে আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমরা দলের মনোনয়ন পেয়েছি, ফলে বিশৃঙ্খলা করার কোনো কারণ নেই।”
তিনি এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
অনলাইন ডেস্ক 









