জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদ এবং অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।

দুপুর পৌনে ৩টা থেকে ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ অংশে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের স্লোগানে উঠে আসে— ‘ঢাকায় হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘জুলাই যোদ্ধারা আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হবে’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘ইন্টেরিম সরকার ব্যর্থ’ ইত্যাদি।

আন্দোলনকারীদের একজন, নাজিম উদ্দীন বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের ওপর দিয়ে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে, অথচ আমাদের স্বীকৃতি এখনও মেলেনি। আইনি স্বীকৃতি ছাড়া ভবিষ্যতে আমাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তাই বাধ্য হয়ে আবারও আমরা রাস্তায় নেমেছি।”

আরেক আন্দোলনকারী ওমর ফারুক বলেন, “আমাদের হাজারো ভাইয়ের আত্মত্যাগে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ আজ সেই সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এত রক্ত ঝরানোর পরেও এমন দিন দেখতে হবে, ভাবিনি।”

অবরোধের খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ জানান, “আন্দোলনকারীরা এখন মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।