
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুমিল্লায় র্যালি ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার সকালে কুমিল্লা টাউন হল এলাকা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর পাঁচ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী গ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান এডভোকেট।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-৫ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মোবারক হোসেন, উত্তর জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আলমগীর সরকার, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মু. মাহবুবর রহমান, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি ও লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ড. সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, উত্তর জেলা সেক্রেটারি ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শহিদ, দক্ষিণ জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি কাউন্সিলর মোশারফ হোসাইন ও কামারুজ্জামান সোহেল এবং উত্তর জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক লোকমান হাকিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অবিলম্বে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জুলাই সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
তাঁরা আরও বলেন, “অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার করলেই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। প্রয়োজনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে গণভোট আয়োজন করা হোক— জনগণই সিদ্ধান্ত দিক, তারা পিআর পদ্ধতি চায় কি না।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী যে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে তা হলো— জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি এবং এ বিষয়ে গণভোট আয়োজন। জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation – PR) পদ্ধতি চালু। সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি। ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা।
অনলাইন ডেস্ক 











