সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস
এর আগে ‘নাগরিক ঐক্য’ দলকেও শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি

জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’ কোনো রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেবে না নির্বাচন কমিশন

ছবি: সংগৃহীত

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংবিধানিক মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার ব্যবহার সংরক্ষিত থাকবে এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে এটি দেওয়া হবে না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কমিশন মনে করছে, শাপলা প্রতীক কোনো দলকে বরাদ্দ দিলে তা সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং আইনি বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। কমিশনের অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, শাপলার ব্যবহার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সংসদ ভবনসহ অন্তত ১৫-২০টি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ফলে প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় এটি রাজনৈতিক দল থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিবন্ধনযোগ্য দল হিসেবে ঘোষণা করে ইসি। এনসিপিকে ৫০টি প্রতীকের তালিকা পাঠিয়ে সেখান থেকে একটি বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে শাপলা প্রতীক চাওয়া হলে কমিশন তা প্রত্যাখ্যান করে।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নাটোরে এক সভায় বলেন, “যে নির্বাচন কমিশন একটি দলকে একটি প্রতীক দিতে পারে না, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায়ও অযোগ্য।” এর আগে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী কমিশনের অবস্থানকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কমিশন এসব মন্তব্যকে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্বাচন কমিশনার জানান, শাপলা প্রতীক কোনো দলকে দিলে তা পোস্টার, ব্যানার, গাড়িতে ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতীকের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে এবং কেউ চাইলে কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।

ইসি সংবিধানের ৪(৩) ও ৪(৪) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে জানিয়েছে, শাপলা জাতীয় প্রতীক হিসেবে সংরক্ষিত এবং এর অননুমোদিত ব্যবহার নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই প্রতীক ব্যবহার করলে তা সংবিধানের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নীতির পরিপন্থী হবে।

See also  অবস্থা 'অপরিবর্তিত' এখনও 'শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া

এর আগে ‘নাগরিক ঐক্য’ দলকেও শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি। কমিশন জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও কোনো দলকে জাতীয় প্রতীক শাপলা বরাদ্দ দেওয়া হবে না। এটি অসমীচীন, অযৌক্তিক এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

এর আগে ‘নাগরিক ঐক্য’ দলকেও শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি

জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’ কোনো রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেবে না নির্বাচন কমিশন

৭ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৩

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংবিধানিক মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার ব্যবহার সংরক্ষিত থাকবে এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে এটি দেওয়া হবে না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কমিশন মনে করছে, শাপলা প্রতীক কোনো দলকে বরাদ্দ দিলে তা সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং আইনি বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। কমিশনের অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, শাপলার ব্যবহার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সংসদ ভবনসহ অন্তত ১৫-২০টি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ফলে প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় এটি রাজনৈতিক দল থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিবন্ধনযোগ্য দল হিসেবে ঘোষণা করে ইসি। এনসিপিকে ৫০টি প্রতীকের তালিকা পাঠিয়ে সেখান থেকে একটি বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে শাপলা প্রতীক চাওয়া হলে কমিশন তা প্রত্যাখ্যান করে।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নাটোরে এক সভায় বলেন, “যে নির্বাচন কমিশন একটি দলকে একটি প্রতীক দিতে পারে না, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায়ও অযোগ্য।” এর আগে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী কমিশনের অবস্থানকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কমিশন এসব মন্তব্যকে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্বাচন কমিশনার জানান, শাপলা প্রতীক কোনো দলকে দিলে তা পোস্টার, ব্যানার, গাড়িতে ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতীকের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে এবং কেউ চাইলে কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।

ইসি সংবিধানের ৪(৩) ও ৪(৪) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে জানিয়েছে, শাপলা জাতীয় প্রতীক হিসেবে সংরক্ষিত এবং এর অননুমোদিত ব্যবহার নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই প্রতীক ব্যবহার করলে তা সংবিধানের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নীতির পরিপন্থী হবে।

See also  এলডিপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে নারীদের বিক্ষোভ, থানায় একাধিক মামলা দায়ের

এর আগে ‘নাগরিক ঐক্য’ দলকেও শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি। কমিশন জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও কোনো দলকে জাতীয় প্রতীক শাপলা বরাদ্দ দেওয়া হবে না। এটি অসমীচীন, অযৌক্তিক এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।