
অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’-এর সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎকার দেওয়া-না দেওয়া বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিতর্কের মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ‘এই সময়’-এর সাংবাদিক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছবি, যা তোলা হয়েছে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে।
আজ মঙ্গলবার ‘এই সময়’-এর অনলাইন সংস্করণে প্রথমে একটি জেনেরিক ছবি প্রকাশ করা হলেও পরে সেটি পরিবর্তন করে আপলোড করা হয় মূল সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময়কার ছবি। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, “ঢাকার গুলশনে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ‘এই সময়’। এ মাসের ৪ তারিখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।”
প্রতিবেদনটির ভেতরে আরও একটি ছবি যুক্ত করা হয়, যার ক্যাপশন— “খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ‘এই সময়’। নিজস্ব চিত্র।”
গতকাল সোমবার ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির কাছে ৩০টি আসন চেয়েছে, কিন্তু বিএনপি উৎসাহ দেখায়নি এবং কম সংখ্যক আসনের প্রস্তাব দেয়, যা জামায়াতের পছন্দ হয়নি। ‘BNP-জামায়াতকে ভারত কেন এক বন্ধনীতে রাখছে’, প্রশ্ন মির্জার–শীর্ষক এই প্রতিবেদন অনুসারে এনসিপি সম্পর্কেও ওই সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেন, এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য বিএনপিকে সরকার গঠন করতে না দেওয়া।
তবে এই সাক্ষাৎকারের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। আজ দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান দাবি করেন, সাক্ষাৎকারটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতের ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এমন কোনো বক্তব্য দেননি। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, তা বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানান এবং জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন, যেন বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকেন।
সাক্ষাৎকারের ছবি প্রকাশের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিষয়টি দৃশ্যত নিশ্চিত হলেও, বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ‘এই সময়’ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যা দেয় কি না, কিংবা বিএনপি পক্ষ থেকে আরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না।
Reporter Name 













