সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক: জামায়াত নেতা

  • Reporter Name
  • ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:২৯
  • 7

অনলাইন ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর জামায়াতে ইসলামী নেতা ও চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের দলীয় প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের এক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, আর জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে—এটা আমরা মেনে নেব না।”

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরসহ এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখান ও শিবির নেতার বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ শিবিরের:

সভায় উপস্থিত ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ উসকে দেয় এমন বক্তব্য দেন। তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে এবং প্রকৃত সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। এ বক্তব্যকে শিক্ষার্থীরা “রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা” হিসেবে আখ্যা দেন।

পরবর্তীতে শুক্রবার রাতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির এক বিবৃতি দিয়ে দলীয় প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যকে “অহংকারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক” হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, তার বক্তব্য প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা এবং স্থানীয় দোষীদের দায়মুক্তি দেওয়ার শামিল। একইসঙ্গে খালেদের বক্তব্যকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

শিবিরের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় ছাত্রদলের নেতারা সরাসরি অংশ নিলেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বহিষ্কৃত এক বিএনপি নেতা হামলার নির্দেশ দিলেও তার বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অন্যদিকে, অস্ত্রধারী ছাত্রদল ক্যাডারদেরও এখনো আটক করা হয়নি।

সবশেষে, ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার দাবি করেছে।

See also  অবস্থা 'অপরিবর্তিত' এখনও 'শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া

 

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক: জামায়াত নেতা

৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:২৯

অনলাইন ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর জামায়াতে ইসলামী নেতা ও চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের দলীয় প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের এক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, আর জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে—এটা আমরা মেনে নেব না।”

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরসহ এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখান ও শিবির নেতার বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ শিবিরের:

সভায় উপস্থিত ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ উসকে দেয় এমন বক্তব্য দেন। তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে এবং প্রকৃত সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। এ বক্তব্যকে শিক্ষার্থীরা “রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা” হিসেবে আখ্যা দেন।

পরবর্তীতে শুক্রবার রাতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির এক বিবৃতি দিয়ে দলীয় প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যকে “অহংকারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক” হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, তার বক্তব্য প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা এবং স্থানীয় দোষীদের দায়মুক্তি দেওয়ার শামিল। একইসঙ্গে খালেদের বক্তব্যকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

শিবিরের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় ছাত্রদলের নেতারা সরাসরি অংশ নিলেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বহিষ্কৃত এক বিএনপি নেতা হামলার নির্দেশ দিলেও তার বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অন্যদিকে, অস্ত্রধারী ছাত্রদল ক্যাডারদেরও এখনো আটক করা হয়নি।

সবশেষে, ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার দাবি করেছে।

See also  এলডিপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে নারীদের বিক্ষোভ, থানায় একাধিক মামলা দায়ের