
চান্দিনা মেইল অনলাইনঃ
চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর খতিব আ ন ম নূরুর রহমানের ওপর চাপাতি দিয়ে নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরেই এ হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এই ঘটনায় শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে খতিবের বড় ছেলে আফনান তাকি চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিল্লাল হোসেনকে ঘটনার পরপরই মসজিদের মুসল্লিরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহার মিয়া জানান, অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জুমার খুতবার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বিল্লাল পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালান। ঘটনার সময় মসজিদের ভেতরে কিছু সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত থাকলেও তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন। হামলার পর মাওলানা নূরুর রহমানের মৃত্যুর গুজবও ছড়িয়ে পড়ে, তবে তার পরিবার নিশ্চিত করেছে যে তিনি এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন।
আহত খতিবের ছেলে আফনান তাকি বলেন, “আমার বাবার ওপর পরিকল্পিত ও অমানবিক হামলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং হামলাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আলহামদুলিল্লাহ, বাবার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় সহনশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় ইসলামি নেতৃবৃন্দ। একইসাথে, মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে এধরনের সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাধারণ জনগণ।
Reporter Name 











