
চান্দিনা মেইল অনলাইনঃ
কুমিল্লায় আদালতে ভুয়া খতিয়ান দাখিলের অভিযোগে মামলার বিবাদী সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চান্দিনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক শেখ সাদী রহমান শনিবার (২৪ মে) একটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশে জাল দলিল উপস্থাপনের দায়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনা বিচারিক প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য রাখতে আদালতের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের জিন্নতের নেছা সফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে বিবাদী করে দেওয়ানি ৮৪/২০২১ মামলা করেন। মামলাটি ছিল স্বত্ব ঘোষণার আবেদন জানিয়ে। শুনানির সময়, ২নং বিবাদী সফিকুল ইসলাম একটি আর.এস. ১৮৫ নং খতিয়ানের সই মহরি নকল দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করেন।
বাদীপক্ষ এই খতিয়ানের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে আদালত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক আবদুল মান্নানকে খতিয়ানের ভলিউম উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। আবদুল মান্নান আদালতকে জানান যে, বিতর্কিত খতিয়ানের পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর সই মহরি নকল দেওয়া হয় না।
এরপর আদালত কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওই আর.এস. ১৮৫ নং খতিয়ানের প্রদত্ত সই মহরি নকলের লেখক ও যাচাইকারীর স্বাক্ষরের সঠিকতা যাচাই করার নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লা লিখিতভাবে আদালতকে জানায় যে, ওই খতিয়ানের সই মহরি নকল জেলা রেকর্ড রুম শাখা থেকে দেওয়া হয়নি। এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, আদালতে পেশ করা নথিটি জাল ছিল।
২৪ মে আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাদীপক্ষে আংশিক ডিক্রি হয়। আদেশের একটি অংশে ২নং বিবাদী সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, “এ ঘটনায় বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা কর্তৃক আরও বিস্তারিত তদন্ত হওয়া আবশ্যক। সুষ্ঠু তদন্ত করে সব দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হ্রাস পাবে বলে এই আদালত মনে করে।”
এই আদেশ বিচারিক প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি রোধে আদালতের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Reporter Name 











