
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় ফের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (১৮ মে) বিকেলে পরিচালিত এই অভিযানে মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা দুই শতাধিক অবৈধ দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করত ওই প্রভাবশালী চক্রটি।
এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। তবে উচ্ছেদ অভিযানের সপ্তাহ না পেরোতেই প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আবারও নতুন করে দোকানপাট গড়ে উঠতে শুরু করে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেখানে ফের দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা তৈরি হয়ে যায়।

পাঁচ মাস পর, রবিবার (১৮ মে) আবারও অভিযানে নামে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নূরের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান শেষে ফয়সাল আল নূর কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “প্রশাসন উচ্ছেদ করবে আর তারা আবারও দোকানপাট গড়ে তুলবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা দ্বিতীয়বারের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালালাম। পরবর্তীতে যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার জন্য হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া, হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নূরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মনিরুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর একটি দল সহযোগিতা করেন।
স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসনের এই কঠোর মনোভাব অব্যাহত থাকলে মহাসড়কের পাশে অবৈধ দখলের প্রবণতা কমবে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে প্রভাবশালী মহলের দৌরাত্ম্য বন্ধে নিয়মিত তদারকির ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
Reporter Name 












