
গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন তীব্র আন্দোলন চলছে, ঠিক তখনই জরুরি বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ শনিবার (১০ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদের এই জরুরি সভা। দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অব্যাহত আন্দোলন যখন নতুন মাত্রা পেয়েছে, ঠিক সেই সময়ে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। এই আন্দোলনের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগে এসে জড়ো হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন এবং তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাহবাগে আন্দোলনকারীরা থেমে থেমে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন, যার মধ্যে ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’ এবং গত জুলাই আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ মুগ্ধকে স্মরণ করে ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ স্লোগানগুলো শোনা যাচ্ছে।
গত রাতেও অনেক আন্দোলনকারী শাহবাগেই অবস্থান করে রাস্তায় বিশ্রাম নিয়েছেন, যা তাদের কর্মসূচির দৃঢ়তা প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে এই আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে। সেদিন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
শুক্রবার (০৯ মে) সকালে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সেখান থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেন। তবে, বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি আকস্মিকভাবে সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক দেন।
তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজারো ছাত্র-জনতার একটি মিছিল শাহবাগে এসে জড়ো হয় এবং বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তারা মূল সড়কে বসে পড়ে অবরোধ শুরু করে। এরপর থেকে শাহবাগ এলাকা অবরুদ্ধ এবং আন্দোলনকারীদের স্লোগানে মুখরিত রয়েছে। এই আন্দোলনের চাপেই জরুরি বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
Reporter Name 













