সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

জামায়াত নেতা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ইন্তেকাল করেছেন

বিশেষ প্রতিনিধি-

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক  আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার জুনিয়র সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী  মুহাম্মদ শিশির মনির জানান, আমার সিনিয়র জনাব ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক স্যার ইবনে সিনা হাসপাতালে বিকাল ৪ টা ১০মিনিটে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন।

এর আগে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২৬ই ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়মিত হন।

শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন।

২০১৩ সালে জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়। একই বছরের ১৭ই ডিসেম্বর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইংল্যান্ডে চলে যান।

যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন।

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১৭ই আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়াও ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। দলটির সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলও ছিলেন।

ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।

See also  অবস্থা 'অপরিবর্তিত' এখনও 'শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া

ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

জামায়াত নেতা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ইন্তেকাল করেছেন

৪ মে ২০২৫, ৬:১২

বিশেষ প্রতিনিধি-

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক  আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার জুনিয়র সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী  মুহাম্মদ শিশির মনির জানান, আমার সিনিয়র জনাব ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক স্যার ইবনে সিনা হাসপাতালে বিকাল ৪ টা ১০মিনিটে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন।

এর আগে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২৬ই ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়মিত হন।

শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন।

২০১৩ সালে জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়। একই বছরের ১৭ই ডিসেম্বর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইংল্যান্ডে চলে যান।

যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন।

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১৭ই আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়াও ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। দলটির সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলও ছিলেন।

ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।

See also  অবস্থা 'অপরিবর্তিত' এখনও 'শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া

ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।