সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

বন্যার ত্রাণে ইতিহাস গড়ল কুমিল্লা: প্রধান উপদেষ্টার উপহারে ৭০টি ঘর হস্তান্তর

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বন্যার কবলে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তাঁর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে কুমিল্লা জেলায় নির্মিত ৭০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর রোববার (৩০ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই ৭০টি ঘর জেলার ছয়টি উপজেলার মাঝে বিতরণ করা হয়: বুড়িচং-২৯টি, ব্রাহ্মণপাড়া- ১০টি, সদর দক্ষিণ- ৬টি, চৌদ্দগ্রাম- ১০টি, মনোহরগঞ্জ- ১০টি, নাঙ্গলকোট- ৫টি

জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা এই ঘর নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলাম, তার অর্ধেক খরচ হয়েছে। এটি এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। সাধারণত দেখা যায়, বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা হয়, কিন্তু এখানে উল্টোটা ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, “যে কঠিন পরিস্থিতিতে এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। রাস্তা-ঘাট বন্ধ থাকার পরও সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করেছে। সুন্দর ও স্থায়ী এসব ঘরের মাধ্যমে অসহায় পরিবারগুলো নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে।

ঘরগুলোর নকশা বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনে তা বাস্তবায়িত হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চারটি জেলায় মোট ৩০০টি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজউদ্দিন মিয়া।

তিনি জানান, জায়গার পরিমাণ অনুযায়ী দুই ধরনের বিশেষ ডিজাইনে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এই জায়গাগুলো নির্বাচনে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কাজ করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজমসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উপকারভোগীরা সেনাবাহিনী ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এমন মানবিক উদ্যোগে আশার আলো দেখছেন বলে জানান।

See also  দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

এই আশ্রয়ণ প্রকল্প শুধু মাথার উপর ছাদ নয়, বরং নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি নিয়েই হাজির হয়েছে দুর্গত মানুষের জন্য।

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

বন্যার ত্রাণে ইতিহাস গড়ল কুমিল্লা: প্রধান উপদেষ্টার উপহারে ৭০টি ঘর হস্তান্তর

৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৫:১০

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বন্যার কবলে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তাঁর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে কুমিল্লা জেলায় নির্মিত ৭০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর রোববার (৩০ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই ৭০টি ঘর জেলার ছয়টি উপজেলার মাঝে বিতরণ করা হয়: বুড়িচং-২৯টি, ব্রাহ্মণপাড়া- ১০টি, সদর দক্ষিণ- ৬টি, চৌদ্দগ্রাম- ১০টি, মনোহরগঞ্জ- ১০টি, নাঙ্গলকোট- ৫টি

জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা এই ঘর নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলাম, তার অর্ধেক খরচ হয়েছে। এটি এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। সাধারণত দেখা যায়, বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা হয়, কিন্তু এখানে উল্টোটা ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, “যে কঠিন পরিস্থিতিতে এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। রাস্তা-ঘাট বন্ধ থাকার পরও সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করেছে। সুন্দর ও স্থায়ী এসব ঘরের মাধ্যমে অসহায় পরিবারগুলো নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে।

ঘরগুলোর নকশা বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনে তা বাস্তবায়িত হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চারটি জেলায় মোট ৩০০টি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজউদ্দিন মিয়া।

তিনি জানান, জায়গার পরিমাণ অনুযায়ী দুই ধরনের বিশেষ ডিজাইনে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এই জায়গাগুলো নির্বাচনে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কাজ করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজমসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উপকারভোগীরা সেনাবাহিনী ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এমন মানবিক উদ্যোগে আশার আলো দেখছেন বলে জানান।

See also  বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই

এই আশ্রয়ণ প্রকল্প শুধু মাথার উপর ছাদ নয়, বরং নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি নিয়েই হাজির হয়েছে দুর্গত মানুষের জন্য।