
পৌষের হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে সারা দেশের জনজীবন। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা চরম আকার ধারণ করেছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। তবে স্বস্তির খবর হলো, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে—আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। যদিও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি খুব একটা কমার সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, দেশের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী অঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, যা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকায় এসব অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুয়াশার দাপট। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো অঞ্চলে এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সার্বিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও কুয়াশার কারণে শীতের কামড় এখনই কমছে না।
অনলাইন ডেস্ক 


















