Dhaka ১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার: আজ দুপুর থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক জামায়াতের সঙ্গে জোট চান না এনসিপির ৩০ নেতা, নাহিদ ইসলামকে স্মারকলিপি ভেদাভেদ ভুলে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার শপথ, চান্দিনায় ড. রেদোয়ান আহমেদের ঐক্যের ডাক বরকইট উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি: নবীন-প্রবীণদের মিলনমেলায় মুখর ক্যাম্পাস হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ অচল, লাগাতার অবস্থানের হুঁশিয়ারি বিডি ক্লিন চান্দিনা টিমের উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন হলো চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস এলাকা মার্টিন লুথার কিং কে ছিলেন জানেন? তাপমাত্রা বাড়ার আভাস থাকলেও কমছে না শীতের তীব্রতা, কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত সব বিতর্ক পেছনে ফেলে আজ পর্দা উঠছে বিপিএলের ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার কমিটি গঠন

শীতে নাক বন্ধ হয় কেন?

শীতকালে নাক বন্ধ কেন হয়, কীভাবে চেনা যায় এবং ঘরোয়া যত্নে কীভাবে প্রতিকার করা যায়, তা জানা জরুরি।

নাক বন্ধ হওয়ার কারণ

শীতকালে নাক বন্ধ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো শীতল ও শুকনো বাতাস। নাকের ভেতরের শ্লেষ্মা শুষ্ক হয়ে গেলে রক্তনালি ফোলা শুরু হয় এবং নাক বন্ধ ভাব অনুভূত হয়। শীতকালে ঘরে গরম বাতাস ও রেডিয়েটর ব্যবহার নাকের শ্লেষ্মা আরো শুষ্ক করে তোলে।

অন্যান্য কারণ

সর্দি-কাশি বা ভাইরাস সংক্রমণ : শীতকালে ভাইরাস সক্রিয় হয়ে যায়, যা নাকের শ্লেষ্মা বাড়ায় এবং নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা তীব্র করে।

অ্যালার্জি : ধুলা, ধোঁয়া বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে নাকে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে শীতের সময় ধুলোময় পরিবেশ বা গরম ঘরের বাতাসের কারণে অ্যালার্জি আরো প্রকাশ পায়।

নাজাল পলিপ : নাকের ভেতরে অস্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি শ্বাসনালিতে বাধা সৃষ্টি করে।

সাইনাস সমস্যা : শীতকালে সাইনাসে ফ্লুইড জমে গেলে নাক বন্ধ হয়ে যায়।

পরিবেশগত কারণ : শীতের সময় ঘরে ধুলো, ধোঁয়া বা শুষ্ক বাতাস নাকের শ্লেষ্মাকে রুক্ষ করে, যা শ্বাসকষ্ট বাড়ায়।

লক্ষণ

  • নাক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ফলে ঘুমাতে সমস্যাও হতে পারে।
  • মাথা ভার লাগা বা সাইনাসে চাপ অনুভূত হয়।
  • মাঝে মাঝে নাক দিয়ে পানি ঝরে, আবার কখনো শুকনো শ্লেষ্মা জমে থাকে।
  • কথা বলা বা খাবার খাওয়ার সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
  • অনেক সময় নাকের ভেতরের চাপের কারণে মাথাব্যথা বা গলায় চাপ অনুভূত হয়।

এমন লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে এটি শুধুই সাময়িক সমস্যা নয়। শীতকালে সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস করা যায়।

ঘরোয়া প্রতিকার

নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা প্রায়ই ঘরোয়া যত্ন ও সহজ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কমানো যায়।

ভাপ নেওয়া : গরম পানির ভাপ নাকের শ্লেষ্মা ঢিলা করে এবং শ্বাস নিতে সহজ করে। দিনে ১০-১৫ মিনিট ভাপ নেওয়া অনেক সময় কার্যকর।

নাক পরিষ্কার রাখা : লবণপানি দিয়ে নাক ধোয়া নাকের শ্লেষ্মা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি বিশেষভাবে উপকারী যখন দীর্ঘ সময় ধরে নাক বন্ধ থাকে।

গরম পানীয় : গরম চা, স্যুপ বা গরম পানি নাক খোলার অনুভূতি দেয় এবং শ্বাসকষ্ট কমায়।

আর্দ্রতা বজায় রাখা : শীতকালে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ঘরের বাতাস আর্দ্র থাকে এবং নাক শুষ্ক হয় না।

শীতের সময় উষ্ণ রাখা : গরম কম্বল, শাল বা স্কার্ফ নাক এবং শরীর উষ্ণ রাখে, শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে।

ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

 

Tag :
জনপ্রিয়

শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার: আজ দুপুর থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক

শীতে নাক বন্ধ হয় কেন?

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৫৮

শীতকালে নাক বন্ধ কেন হয়, কীভাবে চেনা যায় এবং ঘরোয়া যত্নে কীভাবে প্রতিকার করা যায়, তা জানা জরুরি।

নাক বন্ধ হওয়ার কারণ

শীতকালে নাক বন্ধ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো শীতল ও শুকনো বাতাস। নাকের ভেতরের শ্লেষ্মা শুষ্ক হয়ে গেলে রক্তনালি ফোলা শুরু হয় এবং নাক বন্ধ ভাব অনুভূত হয়। শীতকালে ঘরে গরম বাতাস ও রেডিয়েটর ব্যবহার নাকের শ্লেষ্মা আরো শুষ্ক করে তোলে।

অন্যান্য কারণ

সর্দি-কাশি বা ভাইরাস সংক্রমণ : শীতকালে ভাইরাস সক্রিয় হয়ে যায়, যা নাকের শ্লেষ্মা বাড়ায় এবং নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা তীব্র করে।

অ্যালার্জি : ধুলা, ধোঁয়া বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে নাকে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে শীতের সময় ধুলোময় পরিবেশ বা গরম ঘরের বাতাসের কারণে অ্যালার্জি আরো প্রকাশ পায়।

নাজাল পলিপ : নাকের ভেতরে অস্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি শ্বাসনালিতে বাধা সৃষ্টি করে।

সাইনাস সমস্যা : শীতকালে সাইনাসে ফ্লুইড জমে গেলে নাক বন্ধ হয়ে যায়।

পরিবেশগত কারণ : শীতের সময় ঘরে ধুলো, ধোঁয়া বা শুষ্ক বাতাস নাকের শ্লেষ্মাকে রুক্ষ করে, যা শ্বাসকষ্ট বাড়ায়।

লক্ষণ

  • নাক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ফলে ঘুমাতে সমস্যাও হতে পারে।
  • মাথা ভার লাগা বা সাইনাসে চাপ অনুভূত হয়।
  • মাঝে মাঝে নাক দিয়ে পানি ঝরে, আবার কখনো শুকনো শ্লেষ্মা জমে থাকে।
  • কথা বলা বা খাবার খাওয়ার সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
  • অনেক সময় নাকের ভেতরের চাপের কারণে মাথাব্যথা বা গলায় চাপ অনুভূত হয়।

এমন লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে এটি শুধুই সাময়িক সমস্যা নয়। শীতকালে সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস করা যায়।

ঘরোয়া প্রতিকার

নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা প্রায়ই ঘরোয়া যত্ন ও সহজ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কমানো যায়।

ভাপ নেওয়া : গরম পানির ভাপ নাকের শ্লেষ্মা ঢিলা করে এবং শ্বাস নিতে সহজ করে। দিনে ১০-১৫ মিনিট ভাপ নেওয়া অনেক সময় কার্যকর।

নাক পরিষ্কার রাখা : লবণপানি দিয়ে নাক ধোয়া নাকের শ্লেষ্মা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি বিশেষভাবে উপকারী যখন দীর্ঘ সময় ধরে নাক বন্ধ থাকে।

গরম পানীয় : গরম চা, স্যুপ বা গরম পানি নাক খোলার অনুভূতি দেয় এবং শ্বাসকষ্ট কমায়।

আর্দ্রতা বজায় রাখা : শীতকালে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ঘরের বাতাস আর্দ্র থাকে এবং নাক শুষ্ক হয় না।

শীতের সময় উষ্ণ রাখা : গরম কম্বল, শাল বা স্কার্ফ নাক এবং শরীর উষ্ণ রাখে, শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে।

ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি