যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়েছেন জোহরান মামদানি, যিনি শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই ৩৪ বছর বয়সী রাজনীতিকের বিজয় শুধু নিউইয়র্ক নয়, বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মামদানি নিজেকে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন এবং তার প্রচারণা ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস, মিলিয়নেয়ারদের ওপর কর, ফ্রি বাস ও চাইল্ডকেয়ার, এবং নগর পরিচালিত সুপারমার্কেট চালুর প্রতিশ্রুতিতে ভরপুর। তার এই অবস্থান নিউইয়র্কের তরুণ ও মধ্যবিত্ত ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার এই শহরে মামদানির জয়কে বহুজাতি ও বহুধর্মীয় সমাজের অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও তার সমর্থকরা বলছেন, এই জয় ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের নয়, বরং বাস্তব ইস্যুতে মনোযোগী প্রচারণার ফল। ভোটারদের প্রতিক্রিয়া- জোশুয়া উইলসন, ব্রঙ্কসের সমাজকর্মী, বলেন: “রাজনৈতিক বিভক্তির সময়ে নতুন ও তরুণ কণ্ঠের উত্থান জরুরি। লুসি কর্দেরো, ৬৮ বছর বয়সী ভোটার, বলেন: “মামদানি নতুন, তরুণ, হয়তো তিনিই কিছু পরিবর্তন আনতে পারবেন। মেগান মার্কস, ব্রুকলিনের ফ্রিল্যান্সার, বলেন: “তার অবস্থান আমার চেয়েও বেশি বামঘেঁষা, কিন্তু দেশের পরিস্থিতিতে এমন নেতাই দরকার। অ্যালেক্স লরেন্স, আইনজীবী, বলেন: “প্রথমে তাকে ভোট দিইনি, পরে বুঝেছি তার কথায় ইতিবাচকতা ও সততা আছে। ইফতেখার খান, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড্রাইভার, বলেন: “মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় ভোটারদের ঐক্যই মামদানির বড় শক্তি। তার জয় আমাদের জন্য নতুন সূচনা। মামদানি এই নির্বাচনে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত...