
কুমিল্লা-৬ (সদর-সিটি করপোরেশন-সেনানিবাস-সদর দক্ষিণ) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন একই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীরা। মনোনয়নকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীতে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সন্ধ্যা মাগরিবের নামাজের পর ধর্মসাগর পাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক মশাল হাতে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কান্দিরপাড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় ‘ভাইস্যা আসা নমিনেশন, মানি না মানবো না’, ‘এই কুমিল্লার মাটি, ইয়াছিন ভাইয়ের ঘাঁটি’, ‘সিন্ডিকেটের নমিনেশন মানি না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’—এমন নানা স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা।
হাজী ইয়াছিনের অনুসারীদের দাবি, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি দলের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন, নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অথচ তাকে উপেক্ষা করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে অন্য প্রার্থীকে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হাজী ইয়াছিন বলেন, “দলের দুঃসময়ে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি। আমার নেতাকর্মীরা হতাশ। আমার বিশ্বাস, হাইকমান্ডে আমার বিষয়ে সঠিক বার্তা পৌঁছেনি। আমার সমর্থকরা সেই বার্তাই দিতে চায়।”
এর আগে সোমবার রাতেও কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন ইয়াছিনপন্থীরা। পরে রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করেন তারা। যদিও মঙ্গলবার সকালে ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে রাতেই মহাসড়ক ত্যাগ করেন নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। কুমিল্লা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী। একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু। এ আসনে বিএনপির প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
অনলাইন ডেস্ক 









