Logo
প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৫:৫৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ৩:০৯ পি.এম

মসজিদভিত্তিক রাজনীতি: নববী আদর্শ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রয়োগ

ইসলামের ইতিহাসে মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং সমাজ, শিক্ষা, রাজনীতি ও প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদিনায় হিজরতের পর মসজিদে নববী নির্মাণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন কীভাবে একটি মসজিদ ন্যায়, শিক্ষা, নেতৃত্ব ও রাষ্ট্র পরিচালনার কেন্দ্র হতে পারে। • নববী যুগে মসজিদভিত্তিক রাজনীতি- মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর নবী করিম (সা.)-এর সকল রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালিত হতো মসজিদ থেকে। নামাজ, শিক্ষা, বিচার, যুদ্ধনীতি, দাওয়াত, এমনকি বিদেশি দূতদের গ্রহণ—সবকিছুই পরিচালিত হতো মসজিদে নববী থেকে। সহীহ বুখারি (হাদীস: ৪৩৩) ও সহীহ মুসলিম (হাদীস: ৫২৪)-এ বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করিম (সা.) মসজিদে নববী নির্মাণের পর এখান থেকেই মুসলমানদের ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন: “রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সাহাবাদের মসজিদে একত্র করে পরামর্শ করতেন।” (সূরা আলে ইমরান ৩:১৫৯; তাফসিরে ইবনে কাসির) নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, “তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাব চাওয়া হবে।” (সহীহ বুখারি, হাদীস: ৮৯৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৮২৯) এই হাদীস ইসলামী রাজনীতির মৌলিক নীতি—জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধ—স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। • নববী রাজনীতির মৌলিক বৈশিষ্ট্য। ১. মসজিদ ছিল প্রশাসনিক ও পরামর্শ কেন্দ্র। ২. শুরা (পরামর্শ) ছিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলনীতি। “তুমি তাদের ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণ কর।” (সূরা আলে ইমরান ৩:১৫৯) ৩. রাজনীতি ছিল দায়িত্ব ও আমানতের ক্ষেত্র। “নেতৃত্ব একটি আমানত...” (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৮২৫) ৪. ধর্মীয়...

Read More..
Copyright © 2025 চান্দিনা মেইল. All rights reserved.
প্রিন্ট করুন সেভ করুন