সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান 

দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাৎ এর মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ। একই সাথে ৫০ লাখ টাকা জরিমানার রায়ও বাতিল করা হয়। ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসন থেকে ৪ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২ বার তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক খসরুজ্জামান এর একক ব্যঞ্চ বেকসুর খালাস এর ওই রায় প্রদান করেন। ওই মামলার অপর আসামী মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে আগেই খালাস দেওয়া হয়েছিলো।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ-২ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এর আদালত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলো। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেছিলো।

এব্যাপারে এলডিপি’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম বলেন- ২০২৩ সালের ওই রায় স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পিত ও পূর্ব নির্ধারিত ডিজাইনের অংশ ছিলো। আমরা মামলা দায়েরের পর থেকেই বলে এসেছি এটি মিথ্যা মামলা।

২০২৩ সালে রায়ের পর পরই বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই রায়কে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এছাড়াও ওই সময় এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মামলাটি অসত্য ও রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয় নেতাকর্মীদের জনগণের নিকট থেকে দূরে রাখার পরিকল্পিত ছকের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

১/১১ পরবর্তী সময়ে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে ২০০৭ সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে রাজধানীর রমনা থানায় রেদোয়ান আহমেদসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অপর দুই আসামি হলেন মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান কবির আহমেদ ও মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরী। পরে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

See also  বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই

এব্যাপারে ড. রেদোয়ান আহমেদ এর আইনজীবী এস.এম শাহজাহান বলেন, দুদক তার এখতিয়ার বহির্ভূত ভাবে ওই মামলাটি দায়ের করেছিলো। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ফলে মামলাটি ছিলো সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।

এব্যাপারে ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন- এক-এগারোর সরকার সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছিলো। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রভাব খাটিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের সকল মামলা প্রত্যাহার করে। কিন্তু বিরোধী পক্ষকে দমন পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে আমাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো বহাল রেখে রেখেছিলো।

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান 

২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৪:০২

দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাৎ এর মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ। একই সাথে ৫০ লাখ টাকা জরিমানার রায়ও বাতিল করা হয়। ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসন থেকে ৪ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২ বার তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক খসরুজ্জামান এর একক ব্যঞ্চ বেকসুর খালাস এর ওই রায় প্রদান করেন। ওই মামলার অপর আসামী মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে আগেই খালাস দেওয়া হয়েছিলো।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ-২ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এর আদালত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলো। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেছিলো।

এব্যাপারে এলডিপি’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম বলেন- ২০২৩ সালের ওই রায় স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পিত ও পূর্ব নির্ধারিত ডিজাইনের অংশ ছিলো। আমরা মামলা দায়েরের পর থেকেই বলে এসেছি এটি মিথ্যা মামলা।

২০২৩ সালে রায়ের পর পরই বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই রায়কে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এছাড়াও ওই সময় এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মামলাটি অসত্য ও রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয় নেতাকর্মীদের জনগণের নিকট থেকে দূরে রাখার পরিকল্পিত ছকের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

১/১১ পরবর্তী সময়ে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে ২০০৭ সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে রাজধানীর রমনা থানায় রেদোয়ান আহমেদসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অপর দুই আসামি হলেন মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান কবির আহমেদ ও মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরী। পরে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

See also  দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

এব্যাপারে ড. রেদোয়ান আহমেদ এর আইনজীবী এস.এম শাহজাহান বলেন, দুদক তার এখতিয়ার বহির্ভূত ভাবে ওই মামলাটি দায়ের করেছিলো। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ফলে মামলাটি ছিলো সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।

এব্যাপারে ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন- এক-এগারোর সরকার সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছিলো। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রভাব খাটিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের সকল মামলা প্রত্যাহার করে। কিন্তু বিরোধী পক্ষকে দমন পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে আমাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো বহাল রেখে রেখেছিলো।