Logo
প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৭:৫৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১০:৪৭ পি.এম

মিয়ানমারে জান্তা সরকারের পুনরুত্থান: চীনের সহায়তায় পাল্টে যাচ্ছে যুদ্ধের গতিপথ

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার আবারও নিজেদের হারানো এলাকা পুনর্দখলে সফলতা অর্জন করছে। চীনের সরাসরি সহায়তায় সেনাবাহিনী এখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালীভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ধারাবাহিক বিমান হামলা, ভারী অস্ত্রের ব্যবহার এবং নতুন প্রযুক্তির সংযোজন—সব মিলিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য স্পষ্টভাবে জান্তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে উত্তরাঞ্চলের কিয়াউকমে শহরটি দখল করেছিল তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত এই শহরের পতনকে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে চলতি বছরের অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে সেনাবাহিনী আবারও শহরটি পুনর্দখল করে নেয়। টানা বিমান হামলায় শহরটির বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ৫০০ পাউন্ডের বোমা, ড্রোন ও কামান ব্যবহার করে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে। টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা জানিয়েছেন, কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ চলছে। সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, যার ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর এই পুনরুত্থানের মূল চালিকা শক্তি চীন। ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের আগে জান্তা সরকারকে সমর্থন দিয়ে চীন তাদের অবস্থান সুসংহত করছে। এই নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত। চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন, মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার...

Read More..
Copyright © 2025 চান্দিনা মেইল. All rights reserved.
প্রিন্ট করুন সেভ করুন