Logo
প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৬:৪৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১:২৪ এ.এম

গোমতীর চরে আগাম ফুলকপির বাম্পার সম্ভাবনা — বাজারে নামতে আর ২০–২৫ দিন

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্ণপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে—গোমতী নদীর বিস্তীর্ণ চরজুড়ে সারি সারি ফুলকপির গাছ সবুজে ঢেকে গেছে চরের মাটি। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বেড়িবাঁধ সড়ক পেরিয়ে সুবর্ণপুরে ঢুকতেই চোখে পড়ে কৃষকদের ব্যস্ততা—কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ সার দিচ্ছেন, আবার কেউ গাছের গোড়ায় পানি দিচ্ছেন। উর্বর চরের এসব জমিতে এবার আগাম শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষে নেমেছেন বিপুল সংখ্যক কৃষক। ২০ দিনের মধ্যে বাজারে; সুবর্ণপুরের চাষিরা জানান, প্রায় এক মাস আগে রোপণ করা ফুলকপির চারা এখন গাছে গাছে কলি ধারণ করেছে। রাতের হালকা শীত, বৃষ্টির পানি নামার পর অনুকূল আবহাওয়া—সব মিলিয়ে ফলন দেখে আত্মবিশ্বাসী কৃষকেরা বলছেন, সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামী ২০–২৫ দিনের মধ্যেই বাজারে তুলতে পারবেন প্রথম দফার ফুলকপি। আগাম মৌসুমে বাজারে নামতে পারলে ভালো দাম মিলবে বলে আশাবাদী তারা। সত্তরোর্ধ্ব আবদুস সাত্তার—গোমতীর এই চরে দুই দশকেরও বেশি সময় কৃষিকাজ করছেন। পুরোনো কর্মজীবনে তিনি ছিলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মচারী। এখন ২৪ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার ফুলকপির চারা লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রতি হাজার চারা ২ হাজার টাকা দরে কিনছি। এখন পর্যন্ত খরচ পড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ১৫ দিনের মধ্যে বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করি। বাজারে দাম ভালো, সব ঠিক থাকলে লাভও ভালো হবে। সুবর্ণপুর ছাড়াও পাশের অরণ্যপুর, জালুয়াপাড়া, সামারচর, ছাওয়ারপুর ও গাজীপুর চরে ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র—সবজিক্ষেতে ফুলকপির কচি সাদা কলি উঁকি দিচ্ছে পাতার...

Read More..
Copyright © 2025 চান্দিনা মেইল. All rights reserved.
প্রিন্ট করুন সেভ করুন