
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভাজন নয়, বরং সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে চায় জামায়াতে ইসলামী—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। তিনি বলেন, “আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। প্রতিযোগিতা রাজনীতির স্বাভাবিক নিয়ম হলেও প্রতিহিংসায় আমরা জড়াবো না। দেশের নাগরিকদের অধিকার ও সম্মান রক্ষায় জামায়াত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।”
বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর হোটেল ওয়েসিস কনভেনশন হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকটি আয়োজন করা হয় জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে।
আবদুল হালিম বলেন, “আমীরে জামায়াত ইতোমধ্যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—আমরা রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে প্রতিহিংসামুক্ত রাখতে চাই। মানুষের অধিকার ও মর্যাদার ক্ষেত্রে ধর্ম বা দলের পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দিতে হবে, এ দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান এবং উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শফিকুল আলম হেলাল, ব্যবসায়ী হাজী নুর উদ্দিন, কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শহিদ উল্লাহ, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি লুৎফুর রহমান, বার্ডের সাবেক মহাপরিচালক ড. মাসুদুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান পাটোয়ারীসহ স্থানীয় বিশিষ্টজনরা। এছাড়া ওলামা, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারাও অংশগ্রহণ করেন।
জামায়াতের ৫ দফা দাবি সমূহ হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিতকরণ। বর্তমান সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।
আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এই পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক 










