নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংবিধানিক মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার ব্যবহার সংরক্ষিত থাকবে এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে এটি দেওয়া হবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কমিশন মনে করছে, শাপলা প্রতীক কোনো দলকে বরাদ্দ দিলে তা সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং আইনি বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। কমিশনের অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, শাপলার ব্যবহার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সংসদ ভবনসহ অন্তত ১৫-২০টি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ফলে প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় এটি রাজনৈতিক দল থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিবন্ধনযোগ্য দল হিসেবে ঘোষণা করে ইসি। এনসিপিকে ৫০টি প্রতীকের তালিকা পাঠিয়ে সেখান থেকে একটি বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে শাপলা প্রতীক চাওয়া হলে কমিশন তা প্রত্যাখ্যান করে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নাটোরে এক সভায় বলেন, “যে নির্বাচন কমিশন একটি দলকে একটি প্রতীক দিতে পারে না, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায়ও অযোগ্য।” এর আগে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী কমিশনের অবস্থানকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কমিশন এসব মন্তব্যকে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্বাচন কমিশনার জানান, শাপলা প্রতীক কোনো দলকে দিলে তা পোস্টার, ব্যানার,...