বিদেশে গিয়ে স্বপ্নপূরণের বদলে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে মালদ্বীপে পাড়ি জমানো শত শত বাংলাদেশির জীবন। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে কেউ চড়া সুদে ঋণ নিয়ে, কেউ সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু পৌঁছানোর পরই তারা বুঝতে পারছেন—‘ফ্রি ভিসা’ নামের কোনো সুযোগ আসলে ছিলই না, ছিল শুধু প্রতারণার ফাঁদ। দালালের ফাঁদে প্রবাস জীবন দুর্বিষহ, সম্প্রতি মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের একাংশ চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের অধিকাংশই দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে ‘ফ্রি ভিসা’ বা উন্মুক্ত ভিসার প্রলোভনে পা দিয়ে দেশটিতে এসেছেন। কিন্তু মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী, এ ধরনের ভিসা অবৈধ—এবং একমাত্র নিয়োগপ্রাপ্ত কোম্পানিতেই কাজ করার বিধান রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ফ্রি ভিসা’ বলতে মালদ্বীপের আইনে কিছুই নেই। কিছু কোম্পানি যখন তাদের বরাদ্দকৃত কর্মী কোটা পূরণ করতে পারে না, তখন নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ থাকে। এই আইনি ফাঁকটিকে ব্যবহার করে অসাধু দালাল চক্র 'ফ্রি ভিসা'র নামে বিদেশগামীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকারিভাবে ভিসা খোলা, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালু করে। পরবর্তীতে অবৈধ নিয়োগ ও অপব্যবহারের কারণে ২০২৪ সালে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৫ সালের মার্চে দ্বিতীয় দফায় দক্ষ-অদক্ষ কর্মীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত ভিসা চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এই সুযোগেরও অপব্যবহার করছে কিছু দালাল চক্র, যাদের পেছনে প্রভাবশালী কিছু বাংলাদেশির হাত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তারা কাজের নিশ্চয়তা ছাড়াই শ্রমিক পাঠিয়ে...