সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

গাজা যুদ্ধ বন্ধে সম্মত ইসরায়েল

  • Reporter Name
  • ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৩৭
  • 20

অনলাইন ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) একটি ২০ দফা প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন, যার উদ্দেশ্য গাজা অঞ্চলে তৎকালীন যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও বন্দি মুক্তির মাধ্যমে স্থিতিশীলতা আনা। প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু; এখন হামাসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রতীক্ষা চলছে।

ট্রাম্প প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি হামাস এটি মেনে নেয় তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা ও ইসরায়েলের বন্দি—জীবিত ও মৃত পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে—সকলের মুক্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বিনিময়ে হামাস গাজার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে এবং গাজার প্রশাসনের জন্য একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আমেরিকা, ইউরোপ এবং কয়েকটি আরব দেশ প্রতিদানমূলক ভূমিকা রাখবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অন্তর্বর্তী প্রশাসনের মূল দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্রই থাকবে। একই সঙ্গে গাজার বসবাসকারী সাধারণ মানুষ তাদের ভূখণ্ডেই থেকে যাবেন; কাউকে জোরপূর্বক অন্য দেশে পাঠানোর কোনো চেষ্টার অনুমতি থাকবে না বলে বলা হয়েছে।

ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন যে, গাজা ও হামাসকে “সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণ” করা হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় আরব দেশগুলোর সহযোগিতা থাকবে। তিনি দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট আরব দেশগুলো ইতোমধ্যে হামাসকে দুর্বল ও নিরস্ত্র করার ক্ষেত্রে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় হামাসের সুড়ঙ্গ, অস্ত্রাগার ও অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে।

ট্রাম্প সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আটটি মুসলিম রাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতার পর এ সিদ্ধান্তের রূপরেখা তৈরি করতে দেখা যায়, এবং ওই বৈঠকেই কিছু সমঝোতা গড়া হয়েছে বলে প্রাসঙ্গিক সূত্রগুলি ইঙ্গিত দেয়।

প্রস্তাবে অনীহা বা অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ট্রাম্প করাকারি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন: তিনি বলেছেন, যদি আরব দেশগুলো হামাসকে নিরস্ত্রীক করতে ব্যর্থ হয় তবেই ইসরায়েল এককভাবে এই কাজটি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ ব্যবস্থায় পূর্ণ সহায়তা দেবে। একই সঙ্গে তিনি হামাসকে সতর্ক করে বলেন—যদি প্রস্তাব গ্রহণের পরও হামাস পুনর্গঠন বা পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করে, তাহলে ইসরায়েল তাদের নির্মূলের কর্মসূচি শেষ করবে। ট্রাম্পের ভাষ্যে, “ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করবে—এটা সহজভাবে করা যেতে পারে, আবার কঠিন উপায়ে করা যেতে পারে; তবে এটি অবশ্যই করা হবে। আমরা সহজ উপায়কেই অগ্রাধিকার দেব।”

See also  বাংলাদেশের কারণে কাঁদছে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা

ইসরায়েলি সরকার প্রস্তাবটির প্রতি ইতিবাচকতা জানালেও হামাসের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। হামাস যদি প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তাহলেই পরিস্থিতি আবার অচল ও সংঘাতমুখী হয়ে উঠার আশঙ্কা রয়েছে। তবে যদি হামাস সম্মত হয়, তা হলে বন্দি মুক্তি ও নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজায় অপেক্ষাকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুলে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবটি কার্যকর হলে গাজার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কাঠামোতে বড় রকম পরিবর্তন আনা হবে—যা কিভাবে বাস্তবে রূপ নেবে, তা নির্ভর করবে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর প্রতিক্রিয়া, আরব দেশগুলোর সক্রিয়তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণ ও সমর্থনের ওপর।

 

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

গাজা যুদ্ধ বন্ধে সম্মত ইসরায়েল

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৩৭

অনলাইন ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) একটি ২০ দফা প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন, যার উদ্দেশ্য গাজা অঞ্চলে তৎকালীন যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও বন্দি মুক্তির মাধ্যমে স্থিতিশীলতা আনা। প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু; এখন হামাসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রতীক্ষা চলছে।

ট্রাম্প প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি হামাস এটি মেনে নেয় তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা ও ইসরায়েলের বন্দি—জীবিত ও মৃত পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে—সকলের মুক্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বিনিময়ে হামাস গাজার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে এবং গাজার প্রশাসনের জন্য একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আমেরিকা, ইউরোপ এবং কয়েকটি আরব দেশ প্রতিদানমূলক ভূমিকা রাখবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অন্তর্বর্তী প্রশাসনের মূল দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্রই থাকবে। একই সঙ্গে গাজার বসবাসকারী সাধারণ মানুষ তাদের ভূখণ্ডেই থেকে যাবেন; কাউকে জোরপূর্বক অন্য দেশে পাঠানোর কোনো চেষ্টার অনুমতি থাকবে না বলে বলা হয়েছে।

ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন যে, গাজা ও হামাসকে “সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণ” করা হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় আরব দেশগুলোর সহযোগিতা থাকবে। তিনি দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট আরব দেশগুলো ইতোমধ্যে হামাসকে দুর্বল ও নিরস্ত্র করার ক্ষেত্রে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় হামাসের সুড়ঙ্গ, অস্ত্রাগার ও অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে।

ট্রাম্প সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আটটি মুসলিম রাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতার পর এ সিদ্ধান্তের রূপরেখা তৈরি করতে দেখা যায়, এবং ওই বৈঠকেই কিছু সমঝোতা গড়া হয়েছে বলে প্রাসঙ্গিক সূত্রগুলি ইঙ্গিত দেয়।

প্রস্তাবে অনীহা বা অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ট্রাম্প করাকারি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন: তিনি বলেছেন, যদি আরব দেশগুলো হামাসকে নিরস্ত্রীক করতে ব্যর্থ হয় তবেই ইসরায়েল এককভাবে এই কাজটি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ ব্যবস্থায় পূর্ণ সহায়তা দেবে। একই সঙ্গে তিনি হামাসকে সতর্ক করে বলেন—যদি প্রস্তাব গ্রহণের পরও হামাস পুনর্গঠন বা পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করে, তাহলে ইসরায়েল তাদের নির্মূলের কর্মসূচি শেষ করবে। ট্রাম্পের ভাষ্যে, “ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করবে—এটা সহজভাবে করা যেতে পারে, আবার কঠিন উপায়ে করা যেতে পারে; তবে এটি অবশ্যই করা হবে। আমরা সহজ উপায়কেই অগ্রাধিকার দেব।”

See also  হংকংয়ের অগ্নিকাণ্ডটি ১০৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ, নিহত বেড়ে ৬৫

ইসরায়েলি সরকার প্রস্তাবটির প্রতি ইতিবাচকতা জানালেও হামাসের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। হামাস যদি প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তাহলেই পরিস্থিতি আবার অচল ও সংঘাতমুখী হয়ে উঠার আশঙ্কা রয়েছে। তবে যদি হামাস সম্মত হয়, তা হলে বন্দি মুক্তি ও নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজায় অপেক্ষাকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুলে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবটি কার্যকর হলে গাজার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কাঠামোতে বড় রকম পরিবর্তন আনা হবে—যা কিভাবে বাস্তবে রূপ নেবে, তা নির্ভর করবে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর প্রতিক্রিয়া, আরব দেশগুলোর সক্রিয়তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণ ও সমর্থনের ওপর।