সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

জনতার হাতে আটক দুই চোরকে ছেড়ে দিল পুলিশ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

  • Reporter Name
  • ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৩২
  • 9

অনলাইন ডেস্ক:

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে চুরি করতে গিয়ে দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হলেও গুরুতর আহত হওয়ার অজুহাতে থানায় না নিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ঘটনা ঘটেছে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বসতঘরে। চোরেরা ঢুকে পড়লে গৃহকর্তা টের পেয়ে একজনকে ধরে ফেলেন। আটক যুবকের নাম জাকির হোসেন। তিনি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের ইন্দ্রারচর গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে বসন্তপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকেন এবং স্থানীয়ভাবে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সহযোগী হানিফ (পিতা সহিদ মিয়া) পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গরু চুরি ও ঘরে চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। সোমবার রাতে ধরা পড়া চোরদের গণপিটুনি দিলে তারা এলাকার বিভিন্ন চুরির ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গ্রামবাসী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে। খবর পেয়ে চান্দিনা থানার এএসআই শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এ সময় গুরুতর আহত হওয়ার ভান করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুজন চোর। পরে পুলিশ তাদের থানায় না নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে যায়।

এএসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, “আটক চোরদের এলাকাবাসী প্রচণ্ড মারধর করেছিল। তাই তাদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় থানায় না এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন, চিকিৎসার পর বিষয়টি মীমাংসা করবেন।”

গল্লাই ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনিছুর রহমান মিন্টু জানান, “এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা আলোচনা করে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

See also  চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

অন্যদিকে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি। তারা নিজেরাই আপস-মীমাংসা করেছে। এজন্য গুরুতর আহত অবস্থায় কাউকে থানায় আনা হয়নি।”

তবে এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে চোরদের থানা হেফাজতে নেয়নি। এতে করে ভবিষ্যতে চুরির ঘটনা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

 

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

জনতার হাতে আটক দুই চোরকে ছেড়ে দিল পুলিশ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৩২

অনলাইন ডেস্ক:

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে চুরি করতে গিয়ে দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হলেও গুরুতর আহত হওয়ার অজুহাতে থানায় না নিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ঘটনা ঘটেছে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বসতঘরে। চোরেরা ঢুকে পড়লে গৃহকর্তা টের পেয়ে একজনকে ধরে ফেলেন। আটক যুবকের নাম জাকির হোসেন। তিনি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের ইন্দ্রারচর গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে বসন্তপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকেন এবং স্থানীয়ভাবে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সহযোগী হানিফ (পিতা সহিদ মিয়া) পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গরু চুরি ও ঘরে চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। সোমবার রাতে ধরা পড়া চোরদের গণপিটুনি দিলে তারা এলাকার বিভিন্ন চুরির ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গ্রামবাসী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে। খবর পেয়ে চান্দিনা থানার এএসআই শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এ সময় গুরুতর আহত হওয়ার ভান করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুজন চোর। পরে পুলিশ তাদের থানায় না নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে যায়।

এএসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, “আটক চোরদের এলাকাবাসী প্রচণ্ড মারধর করেছিল। তাই তাদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় থানায় না এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন, চিকিৎসার পর বিষয়টি মীমাংসা করবেন।”

গল্লাই ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনিছুর রহমান মিন্টু জানান, “এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা আলোচনা করে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

See also  এলডিপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে নারীদের বিক্ষোভ, থানায় একাধিক মামলা দায়ের

অন্যদিকে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি। তারা নিজেরাই আপস-মীমাংসা করেছে। এজন্য গুরুতর আহত অবস্থায় কাউকে থানায় আনা হয়নি।”

তবে এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে চোরদের থানা হেফাজতে নেয়নি। এতে করে ভবিষ্যতে চুরির ঘটনা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।