
আবু সাঈদ:
চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষ সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে মাত্র কয়েক লাখ টাকার কাজ দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহ্বান করে। মেসার্স এম এনায়েত উল্লাহ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছিল—দুটি শ্রেণিকক্ষ, একটি অফিসকক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন ও একটি নামাজের কক্ষের দরজা-জানালা স্থাপন, ছাদ সংস্কার, ১৩০০ বর্গফুট টাইলস লাগানো এবং রঙের কাজ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে: দরজা-জানালায় খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা, টাইলস স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ছাদ ঢালাই ও অন্যান্য কাজে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রকৃত ব্যয় ৪ লাখ টাকার বেশি নয়। অথচ পুরো প্রকল্পে ২০ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, “ঠিকাদারকে বারবার কাজের শিডিউল দেখাতে বললেও তিনি তা দেখাননি। কাজের মান এতটাই নিম্নমানের যে ঢালাই দুদিনেই উঠে যাচ্ছে, ছাদে পানি পড়ছে। বরাদ্দের পরিমাণ জানার পর আমরা হতবাক।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. এনায়েত উল্লাহ এনাম বলেন, “কাজ এখনও শেষ হয়নি, কিছু রঙের কাজ বাকি আছে। আর ঠিকাদারির কাজ তো, কিছু ১৯/২০ হবেই।
চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী লক্ষণ সূত্রধর জানান, “টেন্ডারটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে হয়েছে। নির্ধারিত ইস্টিমেট অনুযায়ী কাজ চলছে, কিছু রঙের কাজ এখনও বাকি।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, “বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে আমি কাজের মান না দেখে কোনো স্বাক্ষর করবো না।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক এই অনিয়মকে “অস্বাভাবিক” এবং “স্বৈরাচারী শাসনামলের বালিশ কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি” বলে মন্তব্য করেছেন। তারা প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Reporter Name 












