নিজস্ব প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৩) ও তার মা তাহমিনা বেগম হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ঝাড়ফুঁককারী বা কবিরাজ। নিহত সুমাইয়ার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মোবারকের মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক করিয়ে আসছিল। সেই সূত্রে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মোবারক কালিয়াজুরি এলাকার নেলি কটেজে অবস্থিত সুমাইয়াদের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি বাসায় পানি ছিটিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বেরিয়ে যান এবং পরে বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে আবারও বাসায় প্রবেশ করেন। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বাসায় প্রবেশের পর মোবারক সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার মা তাহমিনা বেগম বাধা দিলে মোবারক তাকে অন্য রুমে নিয়ে গিয়ে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়ার রুমে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে সুমাইয়া প্রতিরোধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোবারক তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি বাসা থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের একাধিক ইউনিট তদন্তে নামে। ভবনের নিচতলায় থাকা...