
অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন নৌকা প্রতীকের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের দলে স্থান দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বিভিন্ন ইউনিয়নের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে আব্দুর রউফ ভূঁইয়াকে, যিনি পূর্বে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় ব্যানার-ফেস্টুন তৈরি করে আওয়ামী লীগপন্থী সংসদ সদস্যকে শুভেচ্ছা জানানোর অভিযোগে পরিচিত।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, দলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে দলের তৃণমূল কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে সাব্বির আহমেদ, প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল হক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য হিসেবে জামাল হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিএনপি কর্মীদের দাবি— এদের সবাই আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদেও আওয়ামী লীগ নেতা জসীম উদ্দিন জজুকে মনোনীত করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি কর্মী সোলায়মান লিটন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। আমরা জানতে চাই, এরা কারা এবং কীসের বিনিময়ে তাদের বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলে জায়গা দেওয়া হলো?”
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, “আমার কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলে, তবে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ১৬ বছর যারা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এবং দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারাই মূলত মূল্যায়নের যোগ্য।”
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আওয়ামী ঘরানার নেতাদের দিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক কমিটি গঠন করলে দলীয় কর্মীরা কোথায় যাবে এবং ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী হতে পারে।
Reporter Name 









