
অনলাইন ডেস্ক:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও সংশোধনী ঘোষণা করেছে। নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে সেই দলের নিবন্ধনও স্থগিত থাকবে এবং দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যদিও সংশ্লিষ্ট দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে। যদিও তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের বর্তমান স্থগিতাদেশকে ইঙ্গিত করে।
আরপিও সংশোধনীতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়ে কমিশনার সানাউল্লাহ জানান: আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন। আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তি এবং সরকারি ৫০% বা তার বেশি শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা নির্বাচনে অযোগ্য বলে গণ্য হবেন।
হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদ হারাবেন।
জামানত ও ব্যালট সংশোধন, প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একক প্রার্থী থাকলে ব্যালটে ‘না’ ভোটের সুযোগ থাকবে। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করবেন।
প্রযুক্তি ও প্রচারণা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ, ইভিএম সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে। মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ভোট গণনায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। নির্বাচনী পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
আরপিও সংশোধনীতে ‘ভোট’ শব্দটি বিভিন্ন স্থানে পরিবর্তন করে ‘নির্বাচন’ করা হয়েছে, যা ভাষাগতভাবে আরও সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের এসব সিদ্ধান্ত আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল ও প্রার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হবে।
Reporter Name 













