
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রায় দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়ে একাদশে ঢুকেই বাজিমাত সাইফ হাসানের। বোলিংয়ে এসেই প্রথম ওভারে জোড়া শিকার করলেন তিনি। নিজের চতুর্থ বলে তার ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে জাকেরের তালুবন্দি হন স্কট এডওয়ার্ডস। ৭ বলে ১২ রান করেন ডাচ অধিনায়ক। ছয় ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সাইফের এটিই প্রথম উইকেট।
দ্বিতীয় উইকেটিও পেতে দেরি হয়নি সাইফের। শেষ বলে পেয়েছেন আরেকটি উইকেট। এবার ডিপ মিডউইকেটে তাওহিদ হৃদয়ে ক্যাচ হয়েছেন নিদামানুরু (২৬ বলে ২৬)। ১১ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ৪ উইকেটে ৭৩।
ডাচ শিবিরে তাসকিনের জোড়া ধাক্কা
দিনের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসেই আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। অভিজ্ঞ পেসারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মাক্স ও’ডাউড। ফেরার আগে ১৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ২৫ রানের জুটি। এতে রানের গতি কমে যায় সফরকারীদের। প্রথম তিন ওভারে ২৫ রান এলেও সফরকারীরা পরের তিন ওভারে তুলে মাত্র ৯ রান। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তুলে নেদারল্যান্ডস।
অষ্টম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন তাসকিন। এসেই প্রথম বলে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন টাইগার পেসার। ডানহাতি পেসারের ডেলিভারিতে লম্বা ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন বিক্রমজিৎ সিং। টাইমিংয়ে গড়বড় করে সীমানার খুব কাছে পারভেজ হোসেন ইমনকে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বিক্রমজিৎকে ফিরতে হয়েছে ১১ বলে ৪ রান করে। ক্রিজে তেজা নিদামানুরুর সঙ্গী অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ৯ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান ২ উইকেটে ৬০
এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেন লিটন দাস। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। তার আগে নেদারল্যান্ডস সিরিজটিই বাংলাদেশের প্রস্তুতির বড় সুযোগ। শক্তি ও ক্রিকেট সংস্কৃতির দিক থেকে দুই দলের মধ্যে পার্থক্যের কারণে সিরিজে স্পষ্টভাবে ফেভারিট বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের দেখা হয়েছে পাঁচবার, যেখানে চারবার হেরেছে নেদারল্যান্ডস, জয় পেয়েছে মাত্র একবার। তবুও আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে বাংলাদেশকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের সগৌরব উপস্থিতি থাকে নিয়মিতই। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
বাংলাদেশের একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম এবং রিশাদ হোসেন।
নেদারল্যান্ডস একাদশ: ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, তেজা নিদামানুরু, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, শারিজ আহমেদ, ড্যানিয়েল ডোরাম, টিম প্রিঙ্গল, আরিয়ান দত্ত ও নোয়াহ ক্রুস।
Reporter Name 















