
চান্দিনা মেইল অনলাইনঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে চাঁদাবাজির মামলায় এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে তাকে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধার্যকৃত মাসোহারার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, প্রাণনাশের ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওবায়দুল ইসলাম হৃদয় (২৫) নামে ওই ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত হৃদয় উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র। সে পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এসএ সরকারি কলেজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আমির হোসেন কলেজ রোডের উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে কম্পিউটার টাইপিংয়ের ব্যবসা করেন। তিনি বাদী হয়ে ওবায়দুল ইসলাম হৃদয়কে এজহারভুক্ত আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় একটি চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
আমির হোসেন পৌরসভার ফতেহাবাদ গ্রামের মৃত. আব্দুস সোবহানের ছেলে। ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, ৫ই আগস্টের পর থেকে ছাত্রদল নেতা ওবায়দুল ও অজ্ঞাত আসামিদের নিয়ে তার কাছে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। নিয়মিত টাকা না দিতে পারায় নানাভাবে হুমকি দিতো। পরে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ধার্য করে দেয় ওবায়দুল। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রাণনাশের সঙ্গে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। সেই থেকে নিরাপত্তাহীনতায় মেয়েকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও মাঝে মাঝে ভয়ে না আসলে, টাকার জন্য দলবল নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দরজা-জানালায় পিটিয়ে, গালমন্দ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে থাকে। বিষয়টি কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিজভিউল আহসান মুন্সীকে জানালে তার নির্দেশে থানায় মামলা করি। অভিযুক্ত ওবায়দুল ইসলাম হৃদয় জানান, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে মোবাইলে মেসেজ, বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়া ও টাকা চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এসব মজা করে করেছি।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিজভিউল আহসান মুন্সী জানান, চাঁদাবাজদের সঙ্গে কোনো আপস নেই।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, উগ্র বক্তব্যের ও বিকাশে টাকা পাঠানোর মেসেজের স্ক্রিন শর্টগুলো যাচাই-বাছাই করে ওবায়দুলকে আটক করা হয়। পরে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Reporter Name 










