চান্দিনা মেইল অনলাইনঃ

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলামকে হুমকি দেওয়ার একটি অডিও কল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের এই কল রেকর্ডে একজন ব্যক্তিকে চিৎকার করে অশালীন ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়, যাকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূইয়া বলে দাবি করা হচ্ছে।

অডিওতে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে বলা হয়, “আপনার কত বড় কলিজা আছে আমি দেখব। কে আপনাকে এখানে বসিয়েছে, আমি তার কলিজা খুলে ফেলব। আপনার কলিজাও খুলব।”

অডিওর এক পর্যায়ে বোর্ড চেয়ারম্যান শামছুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, এ সময় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘উনি পরিচয় দিয়েছেন আমাকে উনি খালেদা জিয়ার প্রেস…’। এ কথা বলার সাথে সাথে গফুর ভূইয়া বলে উঠেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে আপনি আমাকে বলতেন যে এরকম একটা তদবির আছে ইয়া আছে, ওখানে তো সে ঢুকতে পারবে না। তার ভাই ঢুকতে পারবে না, আপনি ভেজাল লাগাইছেন। একজন ইয়া করি  আপনি এটার দায় দায়িত্ব নিতে হবে। আমি কালকে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব। কত বড় সাহস আপনার আমি দেখে নেব আপনাকে। এখন যদি ফেরত না আনেন ওই কুত্তার বাইচ্চাকে বলেন, বাস্টার্ডকে বলেন, কিসের কোঅর্ডিনেটর তুমি। ইয়া দেখাও, ডকুমেন্ট দেখাও শুয়োরের বাইচ্চাকে। আপনাকে আমি বলছি আপনি এটা সুন্দরভাবে করেন না হলে কিন্তু আপনার ক্ষতি হবে। আপনি অপমানিত হবেন। আমি আপনাকে দেখে নেব। আমি টোকাই না। আই অ্যাম নট কাউ বয়। আই ওয়াজ ল মেকার, আই নো অল। কুত্তার বাইচ্চা ডিসি…শুয়োরের বাইচ্চা।’ এরমধ্যেই কলরেকর্ডটি শেষ হয়।

বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর ভূইয়া অডিওটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কল রেকর্ডটি আমি শুনেছি। এটি আমার না। এটি এডিট করা হয়েছে।” এরপর তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

অন্যদিকে, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “আমি একটি মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।” অডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আপনার যা বুঝে নেওয়ার বুঝে নেন।”

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন বলেন, “এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে এটি যদি হয়ে থাকে, তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়।”

ভাইরাল অডিওটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। যদিও অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি, তবে এতে ব্যবহৃত ভাষা ও হুমকির ধরণ জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত বা বিবৃতি পাওয়া যায়নি।