ছালাউদ্দিন রিপনঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি এখন আর শুধুই একটি তারিখ নয়—এটি এক নতুন যুগের সূচনা, এক দীর্ঘ প্রতিরোধের গন্তব্যে পৌঁছানোর দিন। এক বছর আগে, ২০২৪ সালের এই দিনে, দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হয়। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পতনের পরিণতি ভোগ করে। এদিন জনগণ শুধু একজন স্বৈরাচার শাসককে বিদায় দেয়নি, তারা বিদায় জানিয়েছে এক দমনমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে। একদলীয় দখলদারি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও বাকস্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে জনতা—বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। গণআন্দোলনের শুরু: কোটা সংস্কার থেকে ফ্যাসিবাদ পতন, সবকিছু শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে। তাদের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে বৈষম্যহীন কোটা সংস্কার। কিন্তু সরকার সেই দাবি শুনেনি। বরং শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ করা হয়, ‘রাজাকার’ বলা হয়—যা আন্দোলনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ১৪ জুলাইয়ের সেই মন্তব্যের পর সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ। আন্দোলন আর শুধু কোটা ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, তা রূপ নেয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক সংগ্রামে। ১৬ জুলাই আসে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। রংপুরের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। একইদিন চট্টগ্রামে নিহত হন ছাত্রদল নেতা ওয়াসিমসহ আরও ছয়জন। এই খবর ভাইরাল হলে দেশের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ভয়-ভীতি, কারফিউ আর প্রতিবাদ: স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলন দমাতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করে। গ্রেফতার করা হয় সাধারণ শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, শিক্ষক এমনকি অভিভাবকদেরও। ছয়জন আন্দোলনকারী সমন্বয়কারীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বার্তা প্রচার...