یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَتَّقُوا اللّٰہَ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ فُرۡقَانًا وَّیُکَفِّرۡ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَیَغۡفِرۡ لَکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ - وَاِذۡ یَمۡکُرُ بِکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِیُثۡبِتُوۡکَ اَوۡ یَقۡتُلُوۡکَ اَوۡ یُخۡرِجُوۡکَ ؕ وَیَمۡکُرُوۡنَ وَیَمۡکُرُ اللّٰہُ ؕ وَاللّٰہُ خَیۡرُ الۡمٰکِرِیۡنَ অনুবাদ (২৯) হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করো, তাহলে তিনি তোমাদের ভালো-মন্দের পার্থক্য করার একটি মানদ- দিবেন। এবং তোমাদের থেকে মুছে দিবেন তোমাদের পাপগুলোকে আর ক্ষমা করে দিবেন তোমাদের ত্রুটি বিচ্যুতি। আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহের মালিক। (৩০) কাফিররা যখন তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছিল তোমাকে বন্দি করার; কিংবা হত্যা করার অথবা দেশ থেকে বের করে দেবার। তারা চক্রান্ত করেছিলো আর আল্লাহও কৌশল করছিলেন, আর আল্লাহই সর্বোত্তম কৌশলী। (সূরা আনফাল : ২৯-৩০) একনজরে সূরা আনফাল মোট আয়াত সংখ্যা ৭৫, রুকু সংখ্যা ১০, সূরাটি মাদানি নামকরণ এ সূরায় বর্ণিত প্রথম আয়াত থেকেই انفال শব্দটি নেওয়া হয়েছে যা نفل এর বহুবচন। يَسْأَلُونَكَ عَنِ ٱلأَنْفَالِ قُلِ ٱلأَنفَالُ لِلَّهِ وَٱلرَّسُولِ فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَصْلِحُواْ ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ যার অর্থ- অনুগ্রহ, দান, উপঢৌকন ইত্যাদি। যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনে তিনটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে- ১. আনফাল ২. গনিমত ৩. ফাই - انفال তথা গনিমতের পরিচয়- যুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে যা অর্জিত হয় তাকে আনফাল বা গনিমত বলা হয়। এ বিষয়ে উক্ত সূরার ৪১ নং আয়াতে বলা হয়েছে- وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا غَنِمۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَاَنَّ لِلّٰهِ خُمُسَهٗ...