Logo
প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৬:০০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০২৫, ৮:৫৭ এ.এম

জুলাই শহীদ দিবস ও আবু সাঈদের আত্মত্যাগ; স্বৈরাচার হাসিনার অভ্যুত্থানের জন্ম

ছালাউদ্দিন রিপনঃ ১৬ জুলাই—বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনার্ত, আবার একইসাথে গৌরবোজ্জ্বল দিন। ২০২৪ সালের এই দিনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তার দুই হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছবিটি আজও গণমানুষের হৃদয়ে সাহস, প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে আছে। পুলিশের শটগানের গুলি তার শরীর বিদ্ধ করে ফেলে দেয় রাজপথে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়ের—জুলাই অভ্যুত্থানের। আবু সাঈদ ছিলেন শুধু একজন শিক্ষার্থী নন; তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী, ছাত্রসমাজের প্রতীক। তার আত্মত্যাগে উত্তাল হয়ে ওঠে রংপুর, ধীরে ধীরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীসহ সারাদেশে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হন এই গণআন্দোলনে। সেই দিন থেকেই আবু সাঈদ হয়ে যান একটি নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি—যেখানে আছে প্রতিবাদ, আছে প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি আছে সম্মিলিত মুক্তির প্রত্যাশা। আবু সাঈদের শহীদ হওয়া ছিল নিছক একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত নিপীড়নের অংশ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন বলছে, মাত্র ১৫ মিটার দূর থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। ভিডিওচিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান প্রমাণ করে, সাঈদ জানতেন তিনি কী ঝুঁকি নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি পিছু হটেননি। প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সাধারণ একটি লাঠি হাতে। তার এই আত্মত্যাগ কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে জাতীয় পর্যায়ে। সেই উত্তাল পরিস্থিতিতে ঢাকায় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বলাকা সিনেমা হলের সামনে নিহত হন...

Read More..
Copyright © 2025 চান্দিনা মেইল. All rights reserved.
প্রিন্ট করুন সেভ করুন