
ঈদুল আজহা বা কোরবানির দিন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে মাংস সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অনেকে একসাথে অনেক মাংস সংরক্ষণ করতে গিয়ে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করায় তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে, কিংবা মাংসের স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন আসতে পারে। তাই কোরবানির মাংস দীর্ঘদিন ভালো রাখতে সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোরবানির মাংস ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে রাখা উচিত। এই তাপমাত্রায় মাংস ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রাখা হলে মাংস দ্রুত বরফে পরিণত হয়, যা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সহায়ক। এরপর তা মাইনাস ১৮ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনাই উত্তম।
ফ্রিজের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা ও সংরক্ষণের সময়সীমা!
ডিপ ফ্রিজ: মাইনাস ১৮°C — ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণযোগ্য।
উপরের চেম্বার: মাইনাস ১৫°C থেকে মাইনাস ১৮°C — ১ থেকে ২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
নিচের চেম্বার: ৩°C থেকে ৪°C — কেবল অল্প সময়ের জন্য রাখা নিরাপদ।
দ্রুত বরফ জমাতে করণীয়!
ছোট ছোট প্যাকেটে মাংস রাখুন: একসাথে বেশি মাংস রাখলে তা বরফ হতে দেরি হয়।
এয়ারটাইট প্যাকেট ব্যবহার করুন: এতে ফ্রিজ বার্ন রোধ হয় ও বাতাস ঢুকতে পারে না।
ফ্রিজের দরজা কম খুলুন: ঠান্ডা বাতাসের সঠিক সঞ্চালনের জন্য দরজা কম খোলা প্রয়োজন।
ফ্রিজে ফাঁকা জায়গা রাখুন: যাতে ঠান্ডা বাতাস মাংসের চারপাশে সহজে চলাচল করতে পারে।
মাংস সংরক্ষণের অতিরিক্ত পরামর্শ!
মাংস ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে প্যাকেটে ভরে সংরক্ষণ করুন।
প্রতিটি প্যাকেটে সংরক্ষণের তারিখ লিখে রাখুন। এতে FIFO (First In, First Out) পদ্ধতিতে ব্যবহার সহজ হয়।
বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্রিজ না খোলাই উত্তম, এতে ভেতরের ঠান্ডা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
ভেজা মাংস রাখলে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে, তাই মাংস শুকিয়ে রাখা আবশ্যক।
সঠিকভাবে সংরক্ষিত কোরবানির মাংস দীর্ঘদিন পুষ্টিগুণ, স্বাদ ও গন্ধ অক্ষুণ্ন রাখে। ঈদের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী করতে এই নিয়মগুলো মেনে চলা প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Reporter Name 















