বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করতে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার (২ জুন) কুমিল্লা সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রথম ধাপের শুনানি। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীর তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আগেই সংশ্লিষ্টদের শুনানিতে অংশ নিতে চিঠি দিয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন অভিযোগকারী, অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তাদের স্বজন, স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট মাঠ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেককে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ঘটনা ও প্রমাণাদি উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন জানান, “ঢাকায় বসে কারো মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই করা সম্ভব নয়। এজন্যই আমরা মাঠ পর্যায়ে এসে যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছি। আজ কুমিল্লায় যাচ্ছি, যেখানে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করা হবে।” জামুকা সদস্য খ. ম. আমীর আলী বলেন, “সব সরকার এসে শুধু সনদ দিয়েছে। কিন্তু কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, তা কখনো খতিয়ে দেখা হয়নি। আমরা সেই কাজটাই করছি, যাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সারা দেশে প্রায় ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তবে জামুকার অভ্যন্তরীণ হিসাবে এই সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে সরকারি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছেন প্রায় ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। গত ১৫ বছরে গেজেট বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৯২৬ জনের। ১২ বছর ৬ মাস...