সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার ঢাকাস্থ চান্দিনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০২৫–২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উইন্ডোজের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আনছে গুগল, পিসিতেই মিলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস: নিহত প্রায় ৬০০, নিখোঁজ শতাধিক দেবিদ্বারে গাঁজাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক কুমিল্লা ফুডপান্ডায় নিয়োগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদনের সুযোগ বুড়িচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ এখনও ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে লাল গালিচার ব্যবহার কীভাবে এলো? জানুন এর ইতিহাস

কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ঘুর্ণিঝড়ে বৈদ্যুতিক লাইনের আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, খুটি ভেঙ্গেছে ৮৪টি, ট্রান্সফরমার বিকল ৬২টি

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় ঘুর্ণিঝড় ‘শক্তি’র কবলে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে ১৭টি উপজেলার বৈদ্যুতিক লাইন। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোথাও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে, কোথাও হেলে পড়েছে। আবার কোথাও ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে পুরো জেলা জুড়ে। ঘুর্ণিঝড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গুলোর প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ৪টি সমিতি দাবি করছে। এদিকে ৬০ ঘন্টায়ও শতভাগ বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি সমিতির ৩০ শতাংশ লাইনম্যান আন্দোলন করতে ঢাকায় যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতে হিমশিম খাচ্ছে সমিতিগুলো।

জানা যায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুতের ৪টি সমিতির অধীনে কুমিল্লা মহানগরীসহ ১৭টি উপজেলা এবং পাশর্^বর্তী ২টি জেলার আরও ২টি উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে আসছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত অনুমান ১১টায় প্রবল বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাসে কুমিল্লা জেলার প্রায় সকল উপজেলার বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো জেলা। প্রথম ২৪ ঘন্টায় জেলার ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। বিদ্যুতের অভাবে মোবাইল ফোনের চার্জ বন্ধ হয়ে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১, ২, ৩ ও ৪ এর জেনারেল ম্যানেজারদের তথ্যমতে ঘুর্ণিঝড়ে ৮৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। ট্রান্সফরমার বিকল হয়েছে ৬২টি এবং প্রায় সাড়ে ৪শ স্থানে বিদ্যুতের তাঁর ছিঁড়ে গেছে। এছাড়াও দুইশতাধিক স্থানে পোল হেলে যাওয়া, শতাধিক স্থানে ক্রস আর্ম ভেঙ্গে, দেড়শতাধিক স্থানে ইনসুলেটর ও ৩ শতাধিক স্থানে মিটার ভেঙ্গে  বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। প্রাথমিক ভাবে অন্তত আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সমিতিগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে চারটি উপজেলায় ২৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে ১৯টি ট্রান্সফরমার বিকল হয় এবং ১৫৫ স্থানে বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে যায়। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় চান্দিনা উপজেলায়। শুধুমাত্র ওই উপজেলায় ৮টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে ৬টি উপজেলায় ৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে এবং ১৩টি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ৬টি উপজেলায় সর্বোচ্চ ৪৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে এবং ১৮টি ট্রান্সফরমার বিকল হয়। ওই সমিতির অধীনে ১৮০টি স্থানে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর অধীনে ৩টি উপজেলায় ৯টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে ১২টি ট্রান্সফরমার বিকল হয় এবং ১৭৬টি স্থানে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

See also  এলডিপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে নারীদের বিক্ষোভ, থানায় একাধিক মামলা দায়ের

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান- বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। টানা দুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে সকলের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফ্রিজে থাকা অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।

চান্দিনা উপজেলার সব্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল রানা জানান- বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। সন্ধ্যায় একটু উঁকি দিয়ে ঘন্টাখানেক ছিল। তারপর সেই বিদ্যুৎ আসে শুক্রবার বিকেলে। ততক্ষণে আমার হেচারীর শতশত মুরগীর ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়- ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন নির্মাণ নিজেদের লাইনম্যান সংকট থাকায় বহিরাগত লোকজন দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিটি সমিতিতে ১-২শ লাইনম্যান নিয়োজিত। কিন্তু আন্দোলন করতে তারা ঢাকায় আছে ৩০ শতাংশ। এই বিপর্যয়ে লাইনম্যানের অনেকটা সংকটে রীতিমতো হিমশীম খেতে হয়েছে ।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আবু রায়হান জানান- ঘুর্ণিঝড়ে বৈদ্যুতিক লাইন অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই আমাদের লোকজন কাজ করছে। বর্তমানে আমাদের সবগুলো লাইনই চালু আছে। তবে শনিবার বিকেলে বৃষ্টির সাথে আবারও ঝড়ো বাতাসে বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে। সেগুলোও সমাধানের চেষ্টা করছি। আন্দোলন করতে লাইনম্যান ঢাকায় থাকার প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন- আমরা বহিরাগত লোকজন দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছি। যাতে লাইনম্যানদের সংকটে কাজ থেমে না থাকে।

Tag :

চান্দিনায় চুরির জেরে রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চিলোড়া বাজার

কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ঘুর্ণিঝড়ে বৈদ্যুতিক লাইনের আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, খুটি ভেঙ্গেছে ৮৪টি, ট্রান্সফরমার বিকল ৬২টি

২ জুন ২০২৫, ৩:৫১

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় ঘুর্ণিঝড় ‘শক্তি’র কবলে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে ১৭টি উপজেলার বৈদ্যুতিক লাইন। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোথাও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে, কোথাও হেলে পড়েছে। আবার কোথাও ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে পুরো জেলা জুড়ে। ঘুর্ণিঝড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গুলোর প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ৪টি সমিতি দাবি করছে। এদিকে ৬০ ঘন্টায়ও শতভাগ বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি সমিতির ৩০ শতাংশ লাইনম্যান আন্দোলন করতে ঢাকায় যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতে হিমশিম খাচ্ছে সমিতিগুলো।

জানা যায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুতের ৪টি সমিতির অধীনে কুমিল্লা মহানগরীসহ ১৭টি উপজেলা এবং পাশর্^বর্তী ২টি জেলার আরও ২টি উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে আসছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত অনুমান ১১টায় প্রবল বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাসে কুমিল্লা জেলার প্রায় সকল উপজেলার বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো জেলা। প্রথম ২৪ ঘন্টায় জেলার ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। বিদ্যুতের অভাবে মোবাইল ফোনের চার্জ বন্ধ হয়ে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১, ২, ৩ ও ৪ এর জেনারেল ম্যানেজারদের তথ্যমতে ঘুর্ণিঝড়ে ৮৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। ট্রান্সফরমার বিকল হয়েছে ৬২টি এবং প্রায় সাড়ে ৪শ স্থানে বিদ্যুতের তাঁর ছিঁড়ে গেছে। এছাড়াও দুইশতাধিক স্থানে পোল হেলে যাওয়া, শতাধিক স্থানে ক্রস আর্ম ভেঙ্গে, দেড়শতাধিক স্থানে ইনসুলেটর ও ৩ শতাধিক স্থানে মিটার ভেঙ্গে  বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। প্রাথমিক ভাবে অন্তত আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সমিতিগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে চারটি উপজেলায় ২৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে ১৯টি ট্রান্সফরমার বিকল হয় এবং ১৫৫ স্থানে বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে যায়। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় চান্দিনা উপজেলায়। শুধুমাত্র ওই উপজেলায় ৮টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে ৬টি উপজেলায় ৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে এবং ১৩টি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ৬টি উপজেলায় সর্বোচ্চ ৪৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে এবং ১৮টি ট্রান্সফরমার বিকল হয়। ওই সমিতির অধীনে ১৮০টি স্থানে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর অধীনে ৩টি উপজেলায় ৯টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে ১২টি ট্রান্সফরমার বিকল হয় এবং ১৭৬টি স্থানে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

See also  কুমিল্লার নতুন এসপি আনিসুজ্জামান

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান- বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। টানা দুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে সকলের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফ্রিজে থাকা অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।

চান্দিনা উপজেলার সব্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল রানা জানান- বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। সন্ধ্যায় একটু উঁকি দিয়ে ঘন্টাখানেক ছিল। তারপর সেই বিদ্যুৎ আসে শুক্রবার বিকেলে। ততক্ষণে আমার হেচারীর শতশত মুরগীর ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়- ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন নির্মাণ নিজেদের লাইনম্যান সংকট থাকায় বহিরাগত লোকজন দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিটি সমিতিতে ১-২শ লাইনম্যান নিয়োজিত। কিন্তু আন্দোলন করতে তারা ঢাকায় আছে ৩০ শতাংশ। এই বিপর্যয়ে লাইনম্যানের অনেকটা সংকটে রীতিমতো হিমশীম খেতে হয়েছে ।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আবু রায়হান জানান- ঘুর্ণিঝড়ে বৈদ্যুতিক লাইন অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই আমাদের লোকজন কাজ করছে। বর্তমানে আমাদের সবগুলো লাইনই চালু আছে। তবে শনিবার বিকেলে বৃষ্টির সাথে আবারও ঝড়ো বাতাসে বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে। সেগুলোও সমাধানের চেষ্টা করছি। আন্দোলন করতে লাইনম্যান ঢাকায় থাকার প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন- আমরা বহিরাগত লোকজন দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়েছি। যাতে লাইনম্যানদের সংকটে কাজ থেমে না থাকে।