
ওপেনার তানজিদ তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে রেকর্ড সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তুলেছে টাইগাররা। এর আগে আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৭৯ রান।
এদিন ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। তবে তামিম ছিলেন আরও বিধ্বংসী। পাওয়ার প্লেতে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েন আমিরাতের বোলাররা। তামিমের ঝড়ো ফিফটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয় সেই ধারা অব্যাহত রাখেন।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর ও ১৪ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রানের পার্টনারশিপ পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ২৫ বলে ফিফটি করার কীর্তি গড়েন তিনি। তবে ইনিংস দীর্ঘ করতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। ৩৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তিন নম্বরে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচিত এই ব্যাটসম্যান আজ শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন। তবে থিতু হওয়ার পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
১৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ রান করে আউট হন তিনি। একই পথে হাঁটেন তাওহিদ হৃদয়ও। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন। ২৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি।
অধিনায়ক লিটন দাস এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলার চেষ্টা করেন। ৩২ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন তিনি। শেষদিকে উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলি ৬ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ রানের ঝড়ো ক্যামিও খেলেন।
উল্লেখ্য, এই ম্যাচে গত খেলায় সেঞ্চুরি করা পারভেজ হোসেন ইমনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
তামিমের বিধ্বংসী শুরু এবং মিডল অর্ডারের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশ আমিরাতের সামনে ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, বোলাররা এই রান ডিফেন্ড করে বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে পারেন কিনা।
Reporter Name 















