বিশেষ প্রতিনিধিঃ

উত্তেজনায় টইটম্বুর চলমান আইপিএল ম্যাচে হঠাৎ ঘটে গেল নজিরবিহীন ঘটনা। ধর্মশালায় দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন ১০.১ ওভারে আচমকা নিভে যায় স্টেডিয়ামের সব আলো।

প্রথমে বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হিসেবে ব্যাখ্যা করা হলেও পরবর্তীতে জানা যায়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দুঃখিত।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান এ হামলা চালায়। রাজৌরি, পহেলগামসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আতঙ্কিত স্থানীয়দের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী।

এছাড়া সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়েছে এবং চন্ডিগড়, অমৃতসরসহ বিভিন্ন শহরে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হচ্ছে। রাজস্থানের পোখরানে পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আইপিএল কর্তৃপক্ষ আগামী ১১ মে’র মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ম্যাচটি ধর্মশালার পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদে। প্রসঙ্গত, ধর্মশালা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ঘটনার সূত্রপাত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা থেকে। সেই ঘটনার জবাবে ভারত দুই দিন আগে পাকিস্তানের নয়টি স্থানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ৮ মে রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতীয় ড্রোন হামলার কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পিএসএলের পেশোয়ার জালমি বনাম করাচি কিংসের ম্যাচ স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উপমহাদেশজুড়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুই দেশের রাজনৈতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে এই সঙ্কটের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।