তাসনীম আলমঃ (দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ, ঢাকা) ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বুড়িগঙ্গা নদী আজ অস্তিত্ব সংকটে। এক সময়ের প্রাণবন্ত ও ঐতিহাসিক এই নদী এখন দখল ও দূষণের কবলে ধুঁকছে। নদীর তীরজুড়ে জমে থাকা প্লাস্টিক, গৃহস্থালি বর্জ্য, শিল্পকারখানার রাসায়নিক ও নানা বিষাক্ত উপাদান নদীর পরিবেশকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। নদীপাড়ের বাস্তব চিত্র; দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে নদীর পানি কালচে, গন্ধে টেকা দায়। নৌকা ও ছোট ছোট ট্রলার নদীর বুক ছেদ করে চললেও জলের স্বচ্ছতা নেই। পানির নিচে জমে থাকা আবর্জনা নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশকে রীতিমতো ধ্বংস করছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, "আগে এই নদীতে আমরা গোসল করতাম, মাছ ধরতাম। এখন এই পানির দিকে তাকানো যায় না, গন্ধে নাক-মুখ চেপে চলতে হয়।" বিপদের ঘণ্টা; পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি পরিবেশবিদদের মতে, বুড়িগঙ্গা এখন একটি “মৃতপ্রায় নদী”। এতে থাকা পানির নমুনায় উচ্চমাত্রায় বিষাক্ত ধাতব পদার্থ, যেমন সীসা, ক্রোমিয়াম ও আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এর ফলে— পানি ব্যবহারকারীরা ডায়রিয়া, চর্মরোগ, এমনকি ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মাছ ও জলজ প্রাণী ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে। নদীকেন্দ্রিক জীবিকা হারাচ্ছেন হাজারো জেলে ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নদীর সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় পর্যটন শিল্পেও ধস নেমেছে। দখল ও বর্জ্য: দায় কার? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। অনেক শিল্প-কারখানা কোনো রকম পরিশোধন ছাড়াই বর্জ্য ফেলে দিচ্ছে নদীতে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে মাঝে মধ্যে...